শসা একটি সহজলভ্য এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। শসা বিভিন্নভাবে শরীরের উপকার করে। নিয়মিত শসা খেলে শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধ হয়।
আমরা অনেকে ওজন কমাতে শসা খেয়ে থাকি। সুস্থ থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে নানা রোগে ভুগতে পারে। অনেকেই ডায়েট চার্টে রাখেন শসা। অনেকেই বিশ্বাস করে, শসা খেলে ওজন কমবে।
সত্যি কি শসা খেলে ওজন করে? যদি তাই হয় তাহলে কীভাবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ। হেলথলাইনের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এসেছে।
প্রথমে জানা যাক শসাতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে-
১০০ গ্রাম শসা থেকে পাওয়া যায়
ক্যালরি - ১৫.৫ গ্রাম
প্রোটিন - ০.৬৪ গ্রাম
কার্বহাইড্রেট- ৩.৭৮ গ্রাম
ফ্যাট - ০.১১ গ্রাম
ডায়াটারি ফাইবার - ০.৬২ গ্রাম
মনোস্যাকারাইড - ১.৭০ গ্রাম
এসব উপাদান ছাড়া ও রয়েছে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে শসা দারুণ উপকারী। এক কাপ শসাতে মাএ ১৬ গ্রাম ক্যালরি থাকে। অর্থাৎ এর ‘এনার্জি ডেনসিটি’ কম। আর ‘এনার্জি ডেনসিটি’ কম এমন খাবারের সঙ্গে ওজন কমার সম্পর্ক আছে। শসায় পানির মাত্রা বেশি হওয়ায় তা খেলে পেট ভরা থাকার অনুভূতি থাকে, ক্ষুধা কমে যায়।
এ ছাড়াও এতে থাকা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে বাড়ে বিপাকের হার। সে কারণে মেদ কমে যেতে সময় লাগে না। তাই ওয়েট লস ডায়েটে শসা অন্যতম উপাদান। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী, কেবল ওজন কমানো নয়, ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এবং দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে ডায়েটের তালিকায় শসা রাখা জরুরি। তবে শুধু ওজন কমাতে শসা ডায়েটই নয়, সুগার নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও শসার উপকারিতা অনেক। এ জন্য প্রত্যেক বেলা খাবারে রাখতে হবে শসা।
এ ছাড়া শসায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। একই সঙ্গে এতে আছে ফাইবার। এ ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার শসা। যে কারণে নিয়মিত শসা খেলে দেহে প্রদাহ কমে। দূরে থাকে একাধিক জটিল অসুখও।
মন্তব্য করুন