কফি বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় পানীয়। পানির সঙ্গে ফুটিয়ে ‘কফি বীজ’ নামে পরিচিত এক প্রকার বীজ পুড়িয়ে গুঁড়ো মিশিয়ে কফি তৈরি করা হয়। অনেকেরই মন কফির ঘ্রাণে প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। মাথাব্যথা বা যন্ত্রণায় অনেকেই কফির কাপে ঘন ঘন চুমুক দেন। তবে তাতে আসলেই কি আরাম মেলে, না কি যন্ত্রণা বেড়ে যায়?
ঘুম থেকে উঠতেই মাথা যন্ত্রণা শুরু। ভাবছেন মাথাব্যথা নিয়ে সারাটা দিন কীভাবে কাটবে ? তড়িঘড়ি করে রান্নাঘরে ছুটলেন কড়া করে এক কাপ কফি খেলে যদি মুক্তি মেলে! কিন্তু কফিতে চুমুক দিলে মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে কি? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মিলবে। তবে মাথাব্যথা বা যন্ত্রণাও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। সব ধরনের মাথাব্যথায় ক্যাফিন-জাতীয় পানীয় কিন্তু কাজ করে না।
বেঙ্গালুরুর ক্লাউড নাইন হাসপাতালের পুষ্টিবিদ হরিপ্রিয়া এন বলছেন, মাথাব্যথা বা যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাফিন ‘থেরাপিউটিক’ এজেন্টের মতো কাজ করে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হলে বা ঘুম থেকে ওঠার পরেও অনেক সময়ে মাথা ধরে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘হিপনিক হেডেক’ বলা হয়। এ ক্ষেত্রে কফি খেলে উপকার মেলে। ২০২৩ সালে ‘নিউট্রিয়েন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রেও সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মাথা যন্ত্রণা দূর করতে কফি কী ভাবে কাজ করে?
১. ক্যাফিন মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের জন্য উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। যা মানসিক অথবা শারীরিক ক্লান্তি দূর করে মনঃসংযোগ ও একাগ্রতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। আবার ‘ভ্যাসোকনস্ট্রিক্টার’ হিসাবেও ক্যাফিন কাজ করে। যা প্রসারিত রক্তবাহিকার পথ সঙ্কুচিত করে দেয়। যে কারণে কফি পান করলে মাথাব্যথায় আরাম মেলে।
২. ক্লান্তি, ঝিমুনিরও মাথাধরা বা মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে সম্পর্ক আছে। কফি গোটা শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষেত্রে উদ্দীপকের মতো কাজ করে। ফলে এই কষ্টের সঙ্গে সাময়িকভাবে মোকাবিলা করা যায়।
সূত্র : আনন্দবাজার
৩) কফিপ্রেমীরা শরীরের ক্ষতি হতে পারে ভেবে অনেক সময়ে এই আসক্তি থেকে স্বেচ্ছায় দূরে থাকতে চান। এই কারণেও কিন্তু মাথা যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এটি ‘ক্যাফিন উইথড্রয়াল হেডেক’ নামে পরিচিত।
মন্তব্য করুন