কর্মব্যস্ততায় কমবেশি সবাই নিজের জন্য আলাদা করে সময় বের করতে পারি না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই অফিসে চলে যেতে হয়। আবার অফিস না থাকলেও বাচ্চার টিফিন থেকে বাড়ির রান্না ছাড়াও একাধিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই এই ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকতে সঠিকভাবে শরীরকে পুষ্টি দেওয়া অনিবার্য। তা না হলে বিপদ হতে পারে। একটু অবহেলার কারণেই শরীরের নানান সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমাদের খাবার খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি জানা থাকা প্রয়োজন।
সবসময় আমাদের সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খাবার। আমরা প্রায়ই সঠিক সময় এবং স্বাস্থ্যকর বিবেচনা না করেই খাবার খাই। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সুস্থ শরীরের জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার এবং সুষম খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এসব কিছুর যত্ন নেওয়ার পরেও আপনার রাতের খাবার আপনার স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনি জানেন কি, রাতে অসময়ে খাওয়ার অভ্যাস আমাদের ঘুম নষ্ট করতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, ৬টার মধ্যে রাতের খাবার হওয়া উচিত। আবার কিছু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি খাবারের সময় নয় বরং এর গুণমান যা এটিকে প্রভাবিত করে। আইএএনএস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন ফিট থাকতে হলে মনোযোগের সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। তা ছাড়া দেরি করে অফিসে কাজ করাসহ অন্য কোনো কারণে মানুষ প্রায়ই দেরি করে বাড়ি ফিরে। অথবা টিভি দেখা এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারে ব্যস্ত থাকার জন্যও আমরা ঠিক সময়ে রাতের খাবার খেতে পারি না।
তবে জেনে রাখা ভালো, সারাদিন কর্মব্যস্ততার পর সঠিক সময়ে রাতের খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। তা না হলে অবহেলার জন্য খাবার হজমে সমস্যা হয় এবং রাতের ঘুমও ঠিকমতো হয় না।
রাতের খাবারের পরে চা বা কফি পান করলে ঘুমের সমস্যা হয়। যহেতেু চা এবং কফিতে ক্যাফেইন থাকে ফলে তা ঘুম কেড়ে নেয়। এমন অবস্থায় এটি পান না করাই ভালো। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবার ঘুমানোর আন্তত এক ঘণ্টা আগে খাওয়া দরকার। তবে সকালের খাবার ভারী এবং রাতের খাবার খুব হালকা হলে ভালো হয়। এতে মেটাবলিজম ও হজম ভালো থাকে। হজমের সমস্যার জন্য ভারী খাবার দায়ী। এই জন্য রাতের খাবারে দেরি করা ঠিক নয়। রাতের খাবার ও ঘুমের মধ্যে কমপক্ষে তিন ঘণ্টার ব্যবধান থাকা দরকার।
রুটি, ডাল, মিশ্র সবজি, স্যালাদ এবং সবুজ শাকসবজি রাতের খাবারে রাখা ভালো। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান। ফলে এতে স্বাস্থ্য ও পরিপাকতন্ত্র উভয়ই ভালো থাকে। এ ছাড়া মসুর ডাল, ভেজিটেবল স্যালাদ, মসুর ডালের স্যুপ, ওটস দিয়ে তৈরি খিচুড়ি রাতের খাবারের জন্য ভালো। এগুলো সহজে হজম হয়। তাই রাতে সহজে হজমযোগ্য খাবার খাওয়া উচিত।
মন্তব্য করুন