গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে পুলিশ হত্যা, থানায় আগুন দেওয়া ও হামলাসহ নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পর পুলিশ থানায় যোগদান করলেও ডেমরা থানায় এখনো গতি ফেরেনি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলে পুলিশের টিম কাজ করলেও বন্ধ রয়েছে পুলিশের টহল টিমের কাজ। এখনো পর্যন্ত রাতের বেলায় কোন টহল ডিউটি শুরু করেনি পুলিশ।
এতে ডেমরায় ঘটে চলেছে বিশৃঙ্খলাসহ নানা রকমের ঘটনা। অভিনব কায়দায় বাড়ছে চুরি ও ছিনতাইসহ নানান অপরাধ এরই মধ্যে সাঈদ নামের এক যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জননিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলেও অনেকের অভিযোগ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ওই দিনই আনন্দ মিছিলের নামে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেক বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সহ হামলা ভাঙচুর চালিয়েছে। ডেমরা ট্রাফিক বক্স, ডিএসসিসির ৬৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুটপাটের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। এ সুযোগে কতিপয় কিছু সুযোগ সন্ধানী দুর্বৃত্তকারীদের দ্বারা এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও লুটপাটের ঘটনা এখনো ঘটছে। দিন দুপুরে বাসা বাড়ির তালা ভেঙে মূল্যবান জিনিসপত্র ও টাকা পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়াও প্রতি রাতেই বিচ্ছিন্নভাবে থানা এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছেই। এসব বিষয়ে মামলা বা থানায় অভিযোগ করা হলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। দিনের পর দিন নানা অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি করে চলেছে কতিপয় অসাধুরা। এ বিষয়ে জনমনে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশের তদারকি কম থাকায় এলাকায় বেড়েছে মাদকের দাপট। এখনো ধারাহিক ভাবে নানান ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা মাহবুব মনি কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণ, খুন, মারামারিসহ যে কোনো ধরনের ঘটনায় পুলিশ মামলা, অভিযোগ নিলেও পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে তারা মাঠে নামছেন না। এতে করে এলাকায় নানা অপরাধের মাত্রা দিন দিন বাড়ছেই। মোটকথা জন নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা হচ্ছে না। আগের মতো যদি পুলিশের টহল এলাকায় দিতো তাহলে মানুষ কিছুটা হলেও উপকার হতো। টহল ব্যবস্থা জোরদার করে জননিরাপত্তায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইলিয়াছ হোসেন দৈনিক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা বর্তমানে প্রতি টিমে ১০ জন করে ৪ টি টিম ভাগ করে দিয়েছি। কোন প্রকার অপরাধের খবর পেলে এসব টিম ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে আমরা এখনো পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি। তাছাড়া গত ২৫ আগষ্ট আমি এখানে যোগদান করার পর আগের চেয়ে কাজের গতি অনেকটা এগিয়েছে। তবে শীঘ্রই আমরা বিভিন্ন অপরাধ দমনে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করে জনসাধারণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন