ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) আন্দোলনকারীদের হামলার পর এ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কারাগারে থেকে আসামি আদালতে হাজির না করায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ এবং ঢাকা জেলা জজ আদালতে বিচার কার্যক্রম চলেনি।
এ বিষয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতের নাজির রেজোয়ান খন্দকার বলেন, সিএমএম আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কখন কার্যক্রম শুরু হবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আজ আর কোনো জামিন শুনানি হবে না। আজকের জামিন শুনানিগুলো আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল বলেন, আদালতে হামলার পর বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ফটক ভাঙার চেষ্টা করার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে রায়সাহেব বাজারের দিকে চলে যায়। এ সময় তারা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে আটকে দেওয়া হয়। এ সময় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা ভেতরে প্রবেশ বন্ধ থাকে। পরে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের প্রিজন ভ্যান ভাঙচুর করা হয়।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ওসি সাদিক ও ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার ওসি মুরাদ হোসেন বলেন, আজ রোববার কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে কোনো প্রিজন ভ্যান আসেনি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকেও কোনো হাজতি আসামি আদালতে হাজির করেননি কারা কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সুপ্রিম কোর্ট ও প্রসিকিউশন বিভাগ) মো. আনিসুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ এখানে দায়িত্ব পালন করছিল, হঠাৎ আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং গাড়ি ভাঙচুর করে৷ কর্তব্যরত পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাদের হামলায় কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন