কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর

চাকরির শর্তের জালে আটকে আছে মাতৃত্ব

পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদের চূড়ান্ত ফলের দাবিতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদের চূড়ান্ত ফলের দাবিতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদের নিয়োগপ্রক্রিয়া সাড়ে তিন বছর ধরে আটকে আছে। এরইমধ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়েছে কিন্তু ফল প্রকাশ হয়নি। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। পরিবার থেকে বাচ্চা নিতে চাপ দিচ্ছে- কিন্তু চাকরি শর্তের জালে অনেকে বাচ্চা নিতে পারছেন না। এর ফলে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদের কয়েক হাজার চাকরিপ্রত্যাশী।

রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সামনে আয়োজিত এক মানবন্ধনে এসব কথা বলেন অনেক চাকরিপ্রত্যাশী।

পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) পদটি শুধু নারীদের জন্য। ৭ হাজার ৬২১ জন নারী প্রার্থী চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষায়, যাদের অধিকাংশই বিবাহিত। এ পদের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার অন্যতম শর্ত হলো, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃক শারীরিক সুস্থতা ও অন্তঃসত্ত্বা নয় মর্মে সনদ জমা দিতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা হলে প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল হবে।

চূড়ান্ত রিজাল্টের অপেক্ষায় থাকা নারী প্রার্থীরা বলছেন, এ পদে ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যখন আবেদন করা হয়েছে, তখন অনেক প্রার্থী বিয়ে না করলেও গত সাড়ে তিন বছরে প্রায় সব প্রার্থীর বিয়ে হয়েছে। কারও কারও বিয়ের তিন থেকে চার বছরও হয়েছে। যে কোনো সময় চূড়ান্ত ফল হতে পারে। তাই নারী প্রার্থীরা গর্ভধারণের প্রক্রিয়ায় যেতে পারছেন না। কারণ, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সাত নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, চাকরিতে যোগদানের সময় অন্তঃসত্ত্বা থাকা যাবে না। শর্তের জালে আটকে আছে তাদের মাতৃত্ব।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগের সমতা থাকবে। অথচ এখানে আমরা শুধু নারী হওয়ায় আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে, যেখানে নারীর ক্ষমতায়নের কথা চিন্তা করে দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল। যে কোনো চাকরিতে আবেদন করা ও চাকরি পাওয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমাদের এই অধিকার থেকে কেউ বঞ্চিত করতে পারে না। ফলাফল যা-ই হোক, নিয়োগপ্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব। চাকরি হোক বা না হোক, দ্রুত ফল চাই। ঝুলন্ত জীবন থেকে মুক্তি চাই।’

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দীর্ঘ তিন বছর পর গত ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশে মোট ৪৬টি জেলায় লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রার্থী। এর মধ্যে ৭ হাজার ৬২১ জন মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষা নিয়ে আগের নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপর নতুন নিয়োগ কমিটি গঠন করে গত ২২ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ৫টি ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

দেশে ফিরলেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি

আজকের নামাজের সময়সূচি

শহীদ আমিনুলের সন্তানদের দায়িত্ব নিল ইত্তেফাকুল উলামা

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

১০

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

১১

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

১২

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

১৩

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১৪

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১৫

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১৬

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১৭

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৮

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৯

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

২০
X