তিন কার্যদিবসের মধ্যে বয়স বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারির আলটিমেটাম দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে ‘চাকরিতে আবেদনে বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চাকরিপ্রত্যাশীরা এ আলটিমেটাম দেন।
সরকারি চাকরিতে আবেদনে বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সংগঠনের সমন্বয়ক মো. আরিফ জানান, আমরা অবিলম্বে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটির বয়স বৃদ্ধির সুপারিশ অনুযায়ী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির আলটিমেটাম দিয়েছি। সে পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন স্থগিত থাকবে।
তিনি জানান, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাব, আমাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। তারা যেন আমাদের দাবি মেনে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারা এমন কোনো সিদ্ধান্ত যেন না নেয়, যার কারণে আমাদের আবার মাঠে নামতে হয়।
এর আগে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ৩৫ ও নারীর জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
চাকরিতে প্রবেশে নারী-পুরুষের বয়সের পার্থক্যের বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, মেয়েদের একটু আলাদা করে বেশি বয়স দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হলো- মেয়েদের ছেলেদের মতো ওই বয়সে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয় না। ফ্যামিলি অবলিগেশন্স থাকে, বিয়ে হয়ে যায়, বাচ্চাকাচ্চা হয়। তাই তারা যেন আসতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের নারী কর্মকর্তার সংখ্যা তুলনামূলক কম। কোটা আছে, কিন্তু অতটা ফুলফিল হয় না। সেজন্য আমরা এ সুপারিশ দিয়েছি। যাতে নারীরা এ সুবিধাটা পায়, তারা আসতে পারে।
তিনি বলেন, ৩৫ বছর (চাকরিতে প্রবেশে) সবার জন্য প্রযোজ্য হবে, তবে নারীদের জন্য আমরা ২ বছর বাড়িয়ে ৩৭ বছর সুপারিশ করেছি। এতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। সম্প্রতি কয়েকশ চাকরিপ্রত্যাশী রাজধানীর শাহবাগে সমবেত হন। একপর্যায়ে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে নিজেদের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন