সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে তা জানতে চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার এ নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, প্রাথমিকের কোটা পদ্ধতি থাকবে কি না, সে বিষয়ে জনপ্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। মতামত পাওয়ার পর এ নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ে নিজস্ব একটি বিধিমালা রয়েছে। এ বিধি মালা অনুসরণ করে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে অধিদপ্তর। এমনকি ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পরও নিজেদের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছে তারা।
ওই সূত্র জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে কোটা নিয়ে নতুন করে পরিপত্র জারি করে আওয়ামী লীগ সরকার। নিজেদের বিধিমালা নাকি নতুন পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম চালানো হবে সে বিষয়টি নিশ্চিত হতেই মতামত চাওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত ফাইল আইন উপদেষ্টার দপ্তরে যেতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার পরীক্ষা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হন।
২০২৩ সালের ১৪ জুন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল পরের দিন প্রকাশ করা হয়।
মন্তব্য করুন