প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের পর সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) যে তদন্ত কমিটি করেছিল, সেই কমিটি তদন্ত কাজ শেষ করেছে। তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) পিএসসির এক সভায় এই প্রতিবেদন পেশ করা হয়।
পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, তদন্ত কমিটি প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের প্রমাণ পায়নি। এখন এই প্রতিবেদন আমরা সরকারের কাছে পাঠাব। সভায় তদন্ত প্রতিবেদন সদস্যদের পড়ে শোনানো হয়। সেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল, তা প্রমাণিত হয়নি।
এরআগে তিন সদস্যের যে তদন্ত কমিটি গঠন করে পিএসসি তাতে আহ্বায়ক করা হয় সরকারি কর্ম কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল আলীম খানকে। কমিটির সদস্য পিএসসির পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা। তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব করা হয় পিএসসির পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হককে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের দুজন উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ‘বিসিএস প্রিলি-লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ সংবাদে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ক্যাডার, নন-ক্যাডারসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করা হয়েছে। টিভি চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে একটি চক্র।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিসিএসসহ ৩০টি ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তা। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ কয়েকটি অভিযোগে বর্তমান পিএসসির পাঁচ কর্মকর্তা এখন কারাগারে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন