খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে ফসল ফলাতে রীতিমতো হিমশিম খান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনের চাষিরা। দীর্ঘমেয়াদি সেই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হাইড্রোপনিক পদ্ধতি, অর্থাৎ মাটি ছাড়া চাষাবাদ শুরু করেছেন দেশটির এক কৃষি গবেষক।
গ্রিনহাউসের মতো করে রাজধানী সানায় গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল এক খামার। অত্যাধুনিক এই চাষাবাদ পদ্ধতির মাধ্যমে মৌসুম ছাড়াই ফলছে শীতকালীন নানা সবজি।
কৃষি গবেষক ওয়াজি আল মুতাওয়াকিল বলেন, ‘এই পদ্ধতি শুষ্ক আবহাওয়াতে চাষাবাদের জন্য দারুণ উপযোগী। এখানে কোনো পলি মাটি নেই, পুরোটাই আগ্নেয়গিরির মাটি ব্যবহার করেছি। তবে ভালো ফসল ফলাতে প্রচুর পানির ব্যবহার করতে হয়।’
স্থানীয় বাজারেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই সবজির। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ১২ মাসই মিলছে টমেটোর মতো সবজি। দামও মৌসুমি সবজির তুলনায় অনেক কম।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, কিছু সবজির জন্য তাদের শীতকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। মৌসুমের শুরুতে ২০ কেজি টমেটোর জন্য গুনতে হতো ২১ থেকে ২৫ ডলার। কিন্তু এখন গরমেও টমেটো পাওয়া যাচ্ছে, দামও স্বাভাবিক। ফলন খুবই ভালো। সবজিগুলো বেশ বড় এবং পরিষ্কার। আগে এক কেজির দাম পড়ত প্রায় দুই ডলার। আর এখন সেই দামে ১০ কেজি পাওয়া যায়।
গবেষক ওয়াজি আল মুতাওয়াকিলের দাবি, দিন দিন বেড়েই চলেছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। তাই ভবিষ্যৎ চাষাবাদের জন্য খুবই কার্যকর হতে পারে হাইড্রোপনিক পদ্ধতি।