জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ৪০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে নিয়ে গেছে সরকার। এবার উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও ৬০ জনকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, আহত ৮ জনকে ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। আর ২১ জনকে তুরস্কে ও ৩১ জনকে পাকিস্তানে পাঠানো হবে।
পাকিস্তানে রোগী পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, কারণ ওখানে মাইন বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল আছে। যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিশেষজ্ঞ এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, চীনের এ হাসপাতালটি রংপুরে স্থাপিত হবে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীন উপহার হিসেবে এ হাসপাতালটি নির্মাণে অর্থায়ন করবে। এই হাসপাতালে পাওয়া যাবে অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসেবা। বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় চীন সহযোগিতা করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার উইথ রোবোটিক ফিজিওথেরাপি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি দিচ্ছে চীন সরকার। এটি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত হবে। বর্তমানে এর যন্ত্রপাতি চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে।
তিনি জানান, রোবোটিক ফিজিওথেরাপি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা সেবা নিতে পারবেন। আহতদের পুনর্বাসনে চীন সরকার এটি সহায়তা হিসেবে দিচ্ছে। এখন জুলাইয়ে আহতদের জন্য ব্যবহার হলেও পরে যাদের প্রয়োজন হবে, তাদের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এতে দেশে ফিজিওথেরাপি সেবাও ভিন্ন মাত্রা পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলাই যোদ্ধারা হেলথ কার্ড দেখিয়ে সারা দেশের সব হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
মন্তব্য করুন