অ্যাজমা বা হাঁপানির চিকিৎসায় নতুন গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এতে দেখা গেছে, এ রোগের চিকিৎসায় মুখে খাবারযোগ্য ওষুধ স্টেরয়েডের চেয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফ্যাসেনরা ইনজেকশন বেশি কার্যকর।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফ্যাসেনরা ইনজেকশনে এ রোগের চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা আরও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনে। ৫০ বছর ধরে এ চিকিৎসার জন্য স্টেরয়েড ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বুধবার এ গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।
‘ফ্যাসেনরা’ নামের এ ইনজেকশন ইওসিনোফিলিক অ্যাজমার চিকিৎসায় ২০১৭ সালে প্রথম অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এ অনুমোদন দিয়েছিল। এ ধরনের ওষুধ ফুসফুসের প্রদাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্বেত রক্তকণিকা লক্ষ্য করে প্রয়োগ করা হয়।
কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা নতুন এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। অ্যাজমা উচ্চঝুঁকিতে থাকা ১৫৮ রোগীর ওপর তারা এ গবেষণা চালিয়েছেন।
এতে দেখা গেছে, অ্যাজমার আক্রমণকালে ফ্যাসেনরা মুখে খাবার উপযোগী ‘কর্টিকোস্টেরয়েড প্রিডনিসোলোন’ চেয়ে বেশি কার্যকর। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রিডনিসোলোনের মতো স্টেরয়েড ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে পারে। তবে এর ফলে তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, তীব্র অ্যাজমায় এটির প্রয়োগে ২৮ দিন পর শ্বাসকষ্টের উপসর্গ অনেকাংশ কমে গেছে। প্রিডনিসোলোন দিয়ে চিকিৎসা শুরুর ৯০ দিন পরও সুস্থ না হওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় চার ভাগ কম সুস্থ না হওয়া ব্যক্তি পাওয়া গেছে ফ্যাসেনরা গ্রহণকারীদের মধ্যে।
মন্তব্য করুন