মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কাজ করছে না অ্যান্টিবায়োটিক

প্রতি বছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুশঙ্কা!

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, দ্রুতগতিতে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরি হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকে আর কাজ হচ্ছে না, ফলে প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এবার সেই সতর্কবার্তারই পুনর্ব্যক্ত করা হলো একটি ভারতীয় গবেষণাপত্রে।

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘ল্যানসেট রিজিওনাল হেল্থ— সাউথইস্ট এশিয়া’ নামক জার্নালে। এতে বলা হয়েছে, এমনিতেই নতুন ওষুধের অভাব, তার মধ্যে পুরোনো অ্যান্টিবায়োটিকগুলি আর কাজ দিচ্ছে না। ফলে চিকিৎসা খাতে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়েছে।

ভারতীয় গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর এএমআর সার্ভেল্যান্স নেটওয়ার্কভুক্ত ২১টি কেন্দ্র থেকে মোট ৬ বছরের তথ্য সংগ্রহ করে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধ যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য পরজীবীর সংক্রমণ কমাতে আর কাজ করে না, সেই পরিস্থিতিকে বলে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’। এতে রোগীর সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকে, এমনটি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

‘ইমার্জিং ট্রেন্ডস ইন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ইন ব্লাডস্ট্রিম ইনফেকশনস: মাল্টিসেন্ট্রিক লংগিচুডিনাল স্টাডি ইন ইন্ডিয়া (২০১৭-২০২২)’ শীর্ষক গবেষণাটি করেছেন আইআইটি দিল্লি ও আইসিএমআরের গবেষকরা।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রায় অতিমারি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এএমআর, ফলে সমগ্র বিশ্বই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। রোগীদের রক্তের সংক্রমণে কীভাবে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে গবেষণায়। গবেষণাটির একটাই উদ্দেশ্য, তা হলো- চিকিৎসার কৌশল সন্ধান।

গবেষণাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইিপেনেম ও মেরোপেনেম জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে মাসে মাসে এএমআর বাড়ছে। ক্লেবসিয়েল্লা, ই কোলাই, অ্যাসিনেটোব্যাকটরের মতো ব্যাকটেরিয়ার রক্তে সংক্রমণ ঘটলে, তার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ওই দুটি ওষুধ। ক্লেবসিয়েল্লা ও অ্যাসিনোব্যাকটর ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণে দেখা গেছে, হাসপাতাল থেকে রোগী সংক্রমিত হলে, তাতে এএমআর আরও বেশি হচ্ছে। আবার ই কোলাই এবং ক্লেবসিয়েল্লা, এই দুই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধে ব্যবহৃত ওষুধ সেফালোস্পোরিনস ও ফ্লোরোকুইনোলোনস আর কাজ করছে না।

গবেষণাটিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ৪.৯৫ শতাংশ মৃত্যু হয়েছিল এএমআর-এ। এভাবে চললে ২০৫০ সালে প্রতি বছর অন্তত ১ কোটি মানুষ মারা যাবেন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কম ও মাঝারি আয়ের দেশগুলো।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এএমআরের কারণে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (এসডিজি) ধাক্কা খাবে। যার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে লাখ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে পৌঁছবে।

সূত্র: আনন্দবাজার

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে : আবু হানিফ

ক্রীড়াবিদ শওকত আলীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

শাহরিয়ার কবির আটক

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

রাসূল (স.) আদর্শ ধারণ করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে

ঝিনাইদহে নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনের গ্রেপ্তারের খবরে বিএনপির আনন্দ মিছিল

মানিকগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

ভূমি উপদেষ্টার পরিদর্শন, হয়রানি ছাড়া নামজারি খতিয়ান পেয়ে উৎফুল্ল নাজিম  

চট্টগ্রামে জশনে জুলুশে মানুষের ঢল  

১০

বন্যা পরবর্তী প্রাণী চিকিৎসায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

১১

‘দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তির জন্য রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে’

১২

নার্সের ভুলে ৩ দিনের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

১৩

‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ’ করার প্রস্তুতি বিএনপির

১৪

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত

১৫

রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

১৬

সিরাজগঞ্জে কবরস্থানে মিলল অস্ত্র ও গুলি

১৭

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমিরের মতবিনিময়

১৮

২৮ থেকে ৪২তম বিসিএসের বঞ্চিত সেই ক্যাডাররা ফের বঞ্চনার শিকার

১৯

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

২০
X