বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় সাড়ে ৭ হাজার নারী এই রোগে প্রাণ হারান। সামাজিক বাধা এবং সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ নারী স্তন ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে অক্ষম।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্থাপত্য অধিদপ্তরে (সেগুনবাগিচা অডিটোরিয়ামে) ‘আমরা নারী’, ‘আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ এবং বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ৯টি দপ্তর ও অধিদপ্তরের নারী কর্মকর্তারা সেমিনারে উপস্থিতি ছিলেন।
সেমিনারে প্রধান বক্তা, স্তন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. উম্মে হুমায়রা কানেতা নারীদের জন্য স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি নিরূপণ, প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্তকরণ ও নিয়মিত পরীক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, মাসিকের পরে ২০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা এবং ৪০ বছরের পর বছরে একবার ম্যামোগ্রাম করানো স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহমান তরফদার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, যুগ্ম সচিব; মোসা. ফেরদৌসী বেগম, যুগ্ম সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলী মীর মনজুরুর রহমান প্রমুখ।
সেমিনারে জানানো হয়, স্তন ক্যানসারের লক্ষণসমূহ-১. বগল বা স্তনে গাঁটের উপস্থিতি ২. স্তনে ফোলা, ব্যথা বা চামড়ার কুঁচকে যাওয়া ৩. স্তনের আকার পরিবর্তন বা লালচে ভাব ৪. স্তনের বোঁটা থেকে রস নির্গত হওয়া।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এম এম জাহিদুর রহমান (বিপ্লব) বলেন, মিডিয়ার সক্রিয় ভূমিকা আমাদের সচেতনতা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। ইত্তেফাক, বাংলাদেশ পোস্ট, একাত্তর টিভি ও ঢাকা মেইল মিডিয়া পার্টনার হিসেবে এই উদ্যোগে আমাদের পাশে আছে। যা দেশের মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ভুমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন