কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ এএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

৩০ পেরিয়ে মা হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ, জেনে নিন চ্যালেঞ্জ

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

মা হওয়া সমস্ত নারীর কাছে এক আলাদা অনুভূতি। কখনো কেউ অল্প বয়সে মা হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ উচ্চশিক্ষা, চাকরি, ক্যারিয়ারের দিকে মনোনিবেশ করতে গিয়ে বিয়ে, সংসার এবং সন্তান জন্মদানে দেরি করছেন। এক্ষেত্রে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে গিয়েও অনেকে সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে মা হওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের শরীরের একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন নারীর মা হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে। এমনও দেখা যাচ্ছে, বিয়ের বয়স ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে হওয়ায় অনেকের কোলে সন্তান আসেনি। ফলে বাড়ছে হতাশা, একাকিত্ব এবং দাম্পত্য জীবনে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

জেনে নিন কি কি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় :

খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেক নারীর দেহে ডিম্বাণু কম থাকে। বয়ঃসন্ধির শুরুতে একজন নারীর দেহে তিন থেকে পাঁচ লাখ ডিম্বাণু থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যা আরও কমতে থাকে। যার ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে মা হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে। একসময় তা বন্ধ্যত্বের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে। ৩০ বছরের আগে যেখানে একজন নারীর মা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৮৫ শতাংশ তা ৩৫ এর পর ৬৬ শতাংশে নেমে আসে।

৩০ বছর বয়সের পর নারীরা মাতৃত্বের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় ঢুকে যান। এ সময়ে এন্ডোমেট্রিওসিস ও অ্যাডিনোমায়োসিস মতো রোগের শঙ্কা থাকে। এতে ভ্রূণ ধারণ ক্ষমতা কমে যায়; যার ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকিও অনেক বেশি থাকে। এমনকি প্রসবের সময়েও সন্তানের মৃত্যু হতে পারে। এছাড়া সন্তানের জিনগত সমস্যা, শারীরিক ঝুঁকিসহ (যেমন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং প্রি-এক্লাম্পসিয়া) নানা রোগে ভুগতে হয়।

কিছু জটিল সমস্যা :

পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০০ জন শিশু জন্ম নিলে তার মধ্যে ৩ থেকে ৪ জনের জন্মগত ত্রুটি থাকে। এটা যে কোনো বয়সে গর্ভধারণ করলেই হতে পারে। তবে নারীদের বয়স যত বাড়ে, ততই তাদের ডিম্বাণুর জেনেটিক পরিবর্তন ঘটে। সেই কারণে একটু বেশি বয়সের পর সন্তানধারণ করলে বাচ্চার ডাউন সিনড্রোম বা এই ধরনের বিভিন্ন জেনেটিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

পরামর্শ : ভয়াবহ সমস্যা এসব এড়াতে চাইলে কম বয়সেই মা হওয়ার পরিকল্পনা করুন। সেক্ষেত্রে আপনি যে বয়সেই মা হতে চান না কেন, চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন। ‘প্রি-কনসেপশনাল কাউন্সেলিং’ খুব জরুরি। সন্তান দেরিতে নেওয়ার পরিকল্পনা করলেও আগে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি। সেক্ষেত্রে আগে আলট্রাসাউন্ড ও এএমআইচ পরীক্ষা করিয়ে দেখে নেওয়া হয় স্বাভাবিকভাবে মা হওয়া সম্ভব কি না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাভাবিপ্রবির নতুন উপাচার্য ঢাবি অধ্যাপক আনোয়ারুল আজীম

শাবিপ্রবির নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী

নরসিংদীর ‘আটগ্রাম ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ এর ফাইনাল খেলা ২১ সেপ্টেম্বর

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি ঢাবি অধ্যাপক

ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন ছাড়তে আলটিমেটাম দেবে জাতিসংঘ

জাবি নতুন দুই প্রোভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগ 

অনুমতি ছাড়া ঢাবি প্রশাসনের কারও নাম ব্যবহার না করার আহ্বান

নিয়মিত প্রাইভেট কারে গাঁজা পাচার করে তারা

এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ দিচ্ছে ভিভো

‘জামায়াতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গণমানুষের কল্যাণ’

১০

নতুন ভিসি পেল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

১১

‘তুমি না আমার বিরুদ্ধে নিউজ করছো’

১২

আন্দোলনে ২ হাজার মানুষকে খুন করেছে হাসিনা : মির্জা ফখরুল

১৩

চবির নতুন ভিসি অধ্যাপক ইয়াহইয়া

১৪

জবির নতুন ভিসি ড. মুহাম্মদ রেজাউল

১৫

যেভাবে দেখবেন শান্ত-রোহিতদের লড়াই

১৬

আদালতে যা বললেন বিচারপতি মানিক

১৭

পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ‘পালাল’ রোহিঙ্গা কিশোরী

১৮

দুবাই থেকে চট্টগ্রামে ঋণখেলাপি স্বামী-স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ

১৯

কলাপাড়ায় ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন

২০
X