কমানো যাচ্ছে না চিকিৎসায় বিদেশমুখিতা, এতে বিলিয়ন ডলার হারাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি প্রতিরোধে দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি। এজন্য স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে পুনঃবিনিয়োগ করে একটি ইকো সিস্টেম দাঁড় করানো দরকার। এতে বিদেশি রোগীরাও আকৃষ্ট হবে। দেশেই হবে মেডিক্যাল ট্যুরিজমের হাব।
শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডির ড্যাফোডিল প্লাজায় বাংলাদেশ মেডিকেল ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমটিএ) আয়োজনে ঢাকায় প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মেডিকেল ট্যুরিজম কনফারেন্সে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের চিকিৎসা পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং দেশি-বিদেশি অংশীদারদের মধ্যে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে কনফারেন্সের আয়োজন। কালবেলার স্বাস্থ্য সম্পাদক রাশেদ রাব্বীর সঞ্চলনায় কনফারেন্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও পর্যটন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন।
কনফারেন্সে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের দেশে মেডিকেল ট্যুরিজম গড়ে তোলার জন্য প্রথমে ইকো সিস্টেম গড়ে তোলা জরুরি। হাসপাতালে শুধু ডাক্তার ভালো হলে চলবে না, রোগ নির্ণয়ের ল্যাব ভালো থাকতে হবে। প্রশিক্ষিত নার্স তৈরি করা জরুরি। যেমন দেশে হৃদরোগের চিকিৎসা এখন বিশ্বমানে। তবে ক্যান্সারের চিকিৎসায় আমরা পিছিয়ে। কিছু কিছু জায়গাতে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। আবার কিছু কিছু জায়গাতে দুর্বলতা রয়েছে। এগুলো দূর করতে স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে পুনঃবিনিয়োগ জরুরি। আমাদের রোগীরা শিক্ষিত নয়। অসুস্থ হলে কোথায় যাবে তার সঠিক তথ্য কারও কাছে থাকে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নির্বাচনে জীবন শেষ হয়ে যায়। অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, দেশে রোগীর তথ্য সংরক্ষণে কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরি হয়নি। এটা সরকার থেকে বা বেসরকারিভাবে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা যায়। একটি অ্যাপ তৈরি করেও এটি সংরক্ষণ করা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মেডিকেল ট্যুরিজম গড়তে স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগের পাশপাশি দক্ষ জনবল তৈরি করাও প্রয়োজন। শুধু চিকিৎসক নয় যে যে জায়গাতে রোগীরা সেবা নিতে যাবে সব জায়গায় দক্ষ জনবল প্রয়োজন। তবে কিছু রোগী বিলাসিতার কারও বিদেশ যায়, এগুলো বন্ধ করতে হবে।
কনফারেন্সে আরও বক্তব্য দেন ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী, পুলিশ সুপার আসমা জামান রিতা, ড্রিমার্স কনসালটেন্সি অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান পরামর্শক ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস।
মন্তব্য করুন