ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল বিভাগে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৮১ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ জন, আর আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৬৭৭ জন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলির গণেশ চন্দ্র বেপারি (৫৭), পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটার বাসিন্দা দুলু বেগম (৪০) ও বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার শফিপুরের বাসিন্দা বেগম (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) শেবাচিম হাসপাতালে মারা যান। বিভাগে মোট মারা যাওয়া ৫২ জনের মধ্যে শেবাচিম হাসপাতালে ৪১ জন, বরগুনায়, পিরোজপুর ও ভোলায় তিনজন করে এবং পটুয়াখালীতে দুজন মারা গেছেন।
এ ছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭ হাজার ৬৭৭ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনায় ২১৪৭ জন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৬১, বরিশালের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে ১০১০, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৭২, পটুয়াখালীর অন্যান্য হাসপাতালে ৭১৯, ভোলায় ৭৩২, ঝালকাঠিতে ২৩৮ ও পিরোজপুরে ৯৯৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৭ হাজার ৩০১ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩২৪ জন।
ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে চিকিৎসার পাশাপাশি এডিস মশা যেন না জন্মাতে পারে সেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত। অর্থাৎ জনসচেতনতা না বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক।
মন্তব্য করুন