রাজধানী ছাড়িয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে। একইসঙ্গে চাপ বাড়ছে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর। এমন পরিস্থিতিতে আজ সতর্কবার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে।
বুধবার (২৬ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহর বাসায় এডিসের লার্ভা, ছেলেকে জরিমানা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘বর্তমানে শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রাজধানীতে স্থিতিশীল অবস্থা থাকলেও ঢাকার বাইরে রোগী বাড়ছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে হলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
মশা নিধন কার্যক্রম আরও জোরদারের তাগিদ দিয়ে অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, জরুরিভিত্তিতে যে করেই হোক, মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। ডেঙ্গু রোগী সামলানোর দায়িত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের হলেও মশা নিয়ন্ত্রণের কাজটি তাদের নয়। এটি মূলত স্থানীয় সরকার বিভাগের।
এ ছাড়া ডেঙ্গু রোগ এবার ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জন মারা গেছেন। একই সময়ে আরও ২ হাজার ৬৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত এক দিনে এ বছরের সর্বোচ্চ আক্রান্ত। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট ১৯৯ জন মারা গেলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৬৫৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক হাজার ৩২৭ জন ও ঢাকার বাইরের এক হাজার ৩২৬ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৩৪১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৩ হাজার ৬৭৬ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬৫ জন।
একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৩৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৮ হাজার ৭৪৪ জন এবং ঢাকার বাইরের ১৩ হাজার ১৯৩ জন।
মন্তব্য করুন