নাটোরের সিংড়ায় গদাই নদীতে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে মাটি ব্যবসা শুরু করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নওফেল উদ্দিন চৌধুরীসহ কয়েকজন প্রভাবশালী। বিষয়টি জানতে পেরে বাঁধ অপসারণ করতে নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি বাঁধ নির্মাণকারীরা। অবশেষে সেই বাঁধ ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নলবাতা এলাকায় অবৈধ বাঁধ অপসারণে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। পাশাপাশি অবৈধভাবে নদীতে বাঁধ দেওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা নওফেল উদ্দিন চৌধুরীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নলবাতা এলাকায় পুকুর কেটে মাটির ব্যবসা করার জন্য গদাই নদীতে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করেন প্রভাবশালীরা। বিষয়টি জানার পর উপজেলা প্রশাসন তাদের নোটিশ দেয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নওফেল উদ্দিন চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে সিংড়া থানায় মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলার আতাইকুলা গ্রামের মো. ইসলামের ছেলে মো. মেহেদী (৪০) ও সাজুরিয়া গ্রামের মো. মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. মামুন (৩৫)।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, এই নদীর পানি দিয়ে প্রায় হাজার বিঘা জমির ফসল উৎপাদন হয়। আসামিরা নদীতে বাঁধ দিয়ে মাটি বহনের জন্য রাস্তা করছিল। এই বাঁধের জন্য নদীর প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। পাশাপাশি জনস্বার্থে বাঁধটি অপসারণ করেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু, উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মো. রেজাউল করিম, হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন