দীর্ঘ এক মহামারির যন্ত্রণা আর একের পর এক অন্যায় যুদ্ধের ভেতর শুরু হলো জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলনের ২৮তম আসর। মরুভূমির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে আজ (বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর) সূচনা হলো ১২ দিনের এই সম্মেলন। এটি মূলত রাষ্ট্রপক্ষের সম্মেলন। ইংরেজিতে একে ‘কনফারেন্স অব পার্টিস’ বা সংক্ষেপে কপ বলে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রসমূহ বছরে একবার এই সম্মেলনে মিলিত হয়ে পৃথিবীর টিকে থাকার ভাগ্য নিধার্রণ করেন।
দুবাইয়ের আগে আরও ২৭টি জলবায়ু সম্মেলন হয়েছে। বছরব্যাপী দুনিয়ার নানাপ্রান্তে জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে সোচ্চার মানুষ। কিন্তু পৃথিবীর মর্মান্তিক পরিণতি রুখে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। প্রশ্নহীন ভোগবিলাসিতা কমছে না। থামছে না দুঃসহ কার্বণ নিঃসরণ। জীবাশ্ম-জ্বালানি নির্ভর এক রুগণ সভ্যতাকে নিয়ে কোনোমতে টিকে আছে এই নীল গ্রহ। কিন্তু গ্রাম কী শহরের মানুষের প্রতিদিনকার জলবায়ুজনিত ভোগান্তি, বহু বৈজ্ঞানিক প্রমাণ কিংবা সর্বজনের চিৎকার কোনোকিছুই পৃথিবীকে সুরক্ষায় অঙ্গীকারসমূহ জোরালো করছে না। তারপরও বহু আশা, দেনদরবার, তর্কবিতর্ক নিয়ে প্রতিবার পৃথিবী অপেক্ষা করে জলবায়ু সম্মেলনের।
প্রতিটি জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতৃত্ব বহু অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এসব প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিশ্বনেতৃবৃন্দ ও দায়ী ধনী দেশগুলো এখনো তৎপর নয়। আর তাই প্রতিবছরের জলবায়ু সম্মেলন ঘিরে বহু আশা থাকলেও ক্রমান্বয়ে দুশ্চিন্তার ভাগাড়েই চাপা পড়ছে আমাদের ভবিষ্যত।
জীবাশ্ম-জ্বালানি পোড়ানোর মাধ্যমেই সবচে বেশি কার্বন নির্গমণ হয়। জীবাশ্ম-জ্বালানির ওপর দাঁড়িয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের উন্নয়ন-অর্থনীতি। দুবাই জলবায়ু সম্মেলনের সভাপ্রধান মনোনীত হয়েছেন আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল-জাবের। আল-জাবের কীভাবে বৈশ্বিক জীবাশ্ম-জ্বালানি তর্ককে সামাল দেবেন এটি দেখার বিষয়। তবে ২০১৫ সালে করা ‘প্যারিস চুক্তি’ অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির ভেতরে রাখা ও ক্রমান্বয়ে জীবাশ্ম-জ্বালানির ব্যবহার কমানোর অঙ্গীকার করেছে বিশ্ব।
২০৩০ সাল পর্যন্ত আমরা একটি লক্ষ্যরেখা নির্ধারণ করেছিলাম। আর মাত্র ৭ বছরে আমরা কী সেই লক্ষ্যরেখায় পৌঁছতে পারব? নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বহু দেশ এবারের সম্মেলনে একটি চুক্তি করতে আগ্রহী। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর মতো প্রসঙ্গ ছাড়াও এবারের সম্মেলনে পূর্ববর্তী সময়ে করা জলবায়ু চুক্তি ও অঙ্গীকার অনুযায়ী আমরা কতোটা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছি কিংবা কতটা দূরে আছি এই ‘গ্লোবাল স্টকটেক’ আলোচনার একটা বড় অংশজুড়ে থাকবে। জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষয়ক্ষতি পূরণের তহবিল, জলবায়ু-উদ্বাস্তু, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে।
জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন জোট প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে সবাই মিলে ‘জাতীয় প্রতিশ্রুত অবদান (এনডিসি)’ অনুযায়ী মাত্র ২ ভাগ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করে, যেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণা জানাচ্ছে ৪৩ ভাগ হ্রাসের কথা বলে। কার্বন নিঃসরণ না থামালে বৈশ্বিক উষ্ণতা যেমন বাড়বে তেমনি গলবে বরফ। ২১০০ সালের ভেতর সাগরের পানির উচ্চতা প্রায় ১.৬২ সেন্টিমিটার বাড়তে পারে। এতে প্লাবিত হবে বহু নিম্নাঞ্চল, তলিয়ে যাবে বহু দেশ। পাশাপাশি বাড়বে খরা, লবণাক্ততা, বন্যা, পঙ্গপাল কিংবা কঠিনসব রোগের সংক্রমণ।
এবারের সম্মেলনে ১৬০টি দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রায় সত্তর হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। ২২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। কিন্তু অধিক কার্বণ নিঃসরণকারী চীন, বা আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধানরা কেউ অংশ নিচ্ছেন কি না নিশ্চিত নয়। তবে ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ এবার অংশ নিচ্ছেন। ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ভেতর পোপ এই প্রথমবারের মতো জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন।
উদ্বোধনের পরের দুই দিন ১ এবং ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট (ডব্লিউসিএএস)’। ৭ ডিসেম্বর বিরতি। ১১ এবং ১২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত দেনদরবার। মধ্যবর্তী দিনগুলোতে নানামুখী নানাপক্ষীয় আলোচনা ও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাইহান সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সম্মেলনের প্রতিটি দিনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন থিম নির্ধারণ করা হয়েছে। তৃতীয় দিনের থিম স্বাস্থ্য, ত্রাণ, পুনরুদ্ধার ও শান্তি। চতুর্থদিনের থিম অর্থায়ন, বাণিজ্য, জেন্ডার সমতা, জবাবদিহিতা। পঞ্চম দিনের থিম জ্বালানিশক্তি, শিল্পায়ন, রূপান্তর, আদিবাসী জনগণ। ষষ্ঠদিনের থিম নানা পর্যায়ের কর্মসূচি, নগরায়ণ, পরিবেশ এবং চলাচল। সপ্তমদিনের থিম যুব, শিশু, শিক্ষা এবং দক্ষতা। অষ্টম দিনের থিম প্রকৃতি, ভূমিব্যবহার এবং সমুদ্র। নবম দিনের থিম খাদ্য, কৃষি ও পানি।
জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ভোরে জেগে দেখি এই একটুখানি কুয়াশা। পৌষ মাস চলছে কিন্তু শীতের কোনো বালাই নেই। এক্সপ্রেস হাইওয়ে দিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছতে না পৌঁছতেই এক ঝাপটার ঠান্ডা বাতাসটুকুও হারিয়ে গেল। এ বছর ছিল ইতিহাসের উষ্ণতম বছর, আসছে বছর নাকি উষ্ণতা আরও বাড়বে। কীভাবে যে প্রকৃতি এসব সামাল দেবে কে জানে? বিমানবন্দরে কথা হল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে।
মিসর জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্বাস্তু হওয়া নগরদরিদ্রদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ আলাপ তুলেছিলেন। জানালেন, ...বহু আলোচনা, বহু সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন আমরা চোখের সামনে কাজ দেখতে চাই, সত্যিকারের বাস্তবায়ন। বিশ্বনেতৃত্ব বারবার অঙ্গীকার ভঙ্গ করবেন, আর সময়ক্ষেপণ করবেন, এভাবে আমরা এক অনিরাপদ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। জলবায়ু-উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর জন্য আমাদের কাজ করা দরকার, লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড গঠন করে বাস্তবায়ন শুরু করা দরকার।
প্রায় পনেরটি জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন ঢাকার সাংবাদিক কাওসার হোসেন। ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের; সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন। সম্মেলনের আগে তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তিনি এবার কী আশা করছেন? জানালেন, .. আমি আশাবাদী, একটা নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে, কার্বন নিঃসরণ কমানো, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির ভেতরে রাখা ও জীবাশ্ম-জ্বালানির ব্যবহার কমাতে এবং লস-অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড গঠনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ দুবাই সম্মেলনে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
ঢাকা থেকে দুবাই যাওয়ার পথে বিমানের জানালা থেকে জমাট বাধা মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকি। আহারে মেঘ, আহারে আবহাওয়া। আমাদের মানুষের নির্দয় অত্যাচারের কত আঘাত এই শরীরে। আর এই আঘাতের দাগ পড়ছে কৃষিজমিতে, নদী, পাহাড়, বন ও মানুষের শরীরে।
বিমানে ওঠার আগে কথা হয় তরতাজা দুই যুবক আশরাফ উদ্দিন এবং মোতাহার আলীর সঙ্গে। বাড়ি সাতক্ষীরা। লবণপানি আর ঘূর্ণিঝড়ে কৃষিকাজ তেমন হয় না, এমনকি নিজেদের চিংড়িঘের বা অন্য আয়রোজগারও নেই। জীবিকার প্রয়োজনেই দেশের বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। নিমিষেই তাদের মুখ হারিয়ে গেল, আমার সামনে ভেসে উঠল আরেক আশরাফ মিয়ার মুখ।
সাতক্ষীরার পলাশপোল খাল পেরিয়ে স্টেডিয়ামের মোড়ে বুট-বাদাম বিক্রি করেন আশরাফ মিয়া। পরিবার নিয়ে আতিরবাগান বস্তিতে ঝুপড়িঘরে থাকেন। স্ত্রীসহ বুট-বাদাম ঠিকঠাক করেন দুপুর পর্যন্ত। বিকেল ৩ টা থেকে ঠেলা ভ্যানে করে বিক্রি শুরু করেন। গভীর রাত পর্যন্ত বাদাম বিক্রি শেষ করেন। দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার কেনাবেচা হয়। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির দিনে বাইরে বের হতে পারেননি। আয় রোজগার হয়নি। মিধিলির পরেরদিন রাতে আতিরবাগান বস্তিতে যাই। আশরাফ মিয়ার স্ত্রী ভাত বসিয়েছেন মাটির চুলায়। বাটিতে গুড়ের দলা নিয়ে বসে আছে তাদের ছোট্ট মেয়ে। মিধিলির কারণে রোজগার না থাকায় গত দুইদিন মাছ বা ডিম জোটেনি পাতে। ঘরে থাকা ফাগনু পড়া গুড় দিয়ে মেয়ের কান্না থামাচ্ছেন। জানালেন এ বছর পরপর ঝড়ের কারণে ৮-১০ দিন আয়-রোজগার বন্ধ ছিল। প্রায় ৫০০০ ক্ষতি। কীভাবে এই ক্ষতি পোষাবেন? আশরাফ মিয়া কোনো জবাব দেননি।
২০২৩ সালে দেশকে সইতে হয়েছে পরপর তিনটি ঘূর্ণিঝড়। ১৪ মে আঘাত হানে মোখা, ২৫ অক্টোবর হামুন এবং সর্বশেষ ১৭ নভেম্বর মিধিলি। অবশ্য হামুনের আগে তেজ নামের আরকেটি ঘূর্ণিঝড়ও তৈরি হয়েছিল। এমনকি মিধিলির পর মিগজাউম নামের আরেক ঘূর্ণিঝড়ের কথা শোনা গেছে।
১৯৯২ সালে বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলনের ভেতর দিয়ে কাঠামোগতভাবে বিশ্বনেতৃত্ব স্বীকার করেছে পৃথিবী এক গভীরতর অসুখে কাতর। আর মানুষের সীমাহীন ভোগবিলাস, লুণ্ঠন, দখল আর দূষণেই পৃথিবীর এই করুণ দশা। গঠিত হয় ‘ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি)। এই সংস্থাটিই মূলত জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করে।
১৯৯৫ সালে জার্মানির বার্লিনের অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জলবায়ু সম্মেলন কপ-১। ১৯৯৬ সালে কপ-২ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়, কপ-৩ জাপানের কিয়োটোতে ১৯৯৭ সালে, ১৯৯৮ সালে কপ-৪ আর্জেন্টিনার বুয়েন্সআয়ার্সে, ১৯৯৯ সালে জার্মানির বনে কপ-৫, ২০০০ সালে নেদারল্যান্ডের হেগে কপ-৬, ২০০১ সালে কপ-৭ মরক্কোর মারাক্কাশে, ২০০২ কপ-৮ ভারতের নয়াদিল্লিতে, ২০০৩ সালে কপ-৯ ইতালির মিলানে, ২০০৪ সালে কপ-১০ আর্জেন্টিনার বুয়েন্সআয়ার্সে, ২০০৫ সালে কপ-১১ কানাডার মন্ট্রিলে, ২০০৬ সালে কপ-১২ কেনিয়ার নাইরোবিতে, ২০০৭ সালে কপ-১৩ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে, ২০০৮ সালে কপ-১৪ পোলান্ডের পুজনানে, ২০০৯ সালে কপ-১৫ ডেনমার্কেও কোপেনহেগেনে, ২০১০ সালে কপ-১৬ মেক্সিকোর কানকুনে, ২০১১ সালে কপ-১৭ দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে, ২০১২ সালে কপ-১৮ কাতারের দোহাতে, ২০১৩ সালে কপ-১৯ পোলান্ডের ওয়ারশতে, ২০১৪ সালে কপ-২০ পেরুর লিমাতে, ২০১৫ সালে কপ-২১ ফ্রান্সের প্যারিসে, ২০১৬ সালে কপ-২২ মরক্কোর মারাক্কাশে, ২০১৭ সালে কপ-২৩ জার্মানির বনে, ২০১৮ সালে কপ-২৪ পোলান্ডের কাটোয়াসে, ২০১৯ সালে কপ-২৫ স্পেনের মাদ্রিদে, ২০২১ সালে কপ-২৬ যুক্তরাজ্যেও গ্লাসগোতে এবং সর্বশেষ কপ-২৭ অনুষ্ঠিত হয়েছে মিশরের শারম আল শেখে। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে জলবায়ু সম্মেলন হয়নি।
দুবাই পৌঁছে এক্সপো সিটিতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করি। দেখা হয়, পরিবেশ-গণহত্যা বন্ধে নিয়ে কর্মরত বন্ধুদের সঙ্গে। ব্রাজিল থেকে এসেছেন ভালডেলিস ভেরন, আমাজনের আদিবাসী ও পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে কাজ করেন। দুবাই জলবায়ু সম্মেলনের কাছে তিনি প্রকৃতি সুরক্ষার অঙ্গীকার প্রত্যাশা করেছেন। জলবায়ু সম্মেলনের কাছে বিশ্ববাসী ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে। জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক কিংবা জনগোষ্ঠী নানাভাবে তাদের কথা তুলে ধরবে। হয়তো এসব প্রত্যাশা অচিরেই বাস্তবায়ন হবে। (৩০ নভেম্বর ২০২৩)
পাভেল পার্থ : প্রাণ-প্রকৃতিবিষয়ক গবেষক ও লেখক
মন্তব্য করুন