নিজেকে বারবার ভেঙেচুড়ে ভিন্নমাত্রার চরিত্রে হাজির হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে টালিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও নিজের জাত চিনিয়ে চলেছেন নতুনভাবে। এই দুই তারকার অসংখ্য ভক্ত রয়েছেন উভয় বাংলায়। তাদের নিয়ে রসালো গল্পও চাউর আছে বাঙালি দর্শকের মুখে মুখে।
প্রায় তিন দশক আগে থেকেই টালিপর্দা ভাগ করে চলেছেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। ১৯৯৪ সালে ‘নাগপঞ্চমী’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বাঁধেন দুজনে। এরপর একে একে অসংখ্য রোমান্টিক ছবি উপহার দিয়েছে এই জুটি। পর্দায় তারা নিজেদের রসায়ন এতটাই চৌকসভাবে ফুটিয়ে তোলেন যে দর্শকরা ভাবেন, তারা হয়তো পর্দার বাইরেও প্রেম করেন।
তবে ২০০২ সালে প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা অভিনীত ‘প্রতিহিংসা’ সিনেমা মুক্তির পর তাদের পথচলায় ঘটে ছন্দপতন। দীর্ঘ ১৪ বছর পর্দায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। তবে তাদের প্রেমের গুঞ্জন তখনও তরতাজা ছিল টালিউডের অন্দরে।
তারপর ১৪ বছরের বিরতি ভেঙে আবারও চারহাত এক করে হাজির হন ক্যামেরার সামনে। দুজনে অভিনয় করেন ‘প্রাক্তন’ সিনেমায়। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা প্রেমিক হৃদয়কে বেশ বিচলিত করে তুলেছিল। অজান্তেই অশ্রু জমেছিল দর্শকের চোখে। প্রাক্তন সিনেমার জন্য ভূয়সী প্রশংসিত হন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা। ফলে তাদের মধ্যে প্রেমের প্রসঙ্গটি নতুন করে ডালপালা মেলে। নিজেদের সম্পর্কের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই আরও দুই সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন তারা।
তবে সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন দুই তারকা। তাদের প্রেমের গুঞ্জন ও পর্দার বাইরের সম্পর্কের প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ ভারতীয় দুই মহাতারকা উত্তম-সুচিত্রার উদাহরণ টেনে পাল্টা প্রশ্ন করেন—উত্তম-সুচিত্রার কি প্রেম ছিল? ঋতুপর্ণার সঙ্গে প্রেমের বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘কিছু জিনিস অজানাই থাকুক। যখন আমরা থাকব না, তখনো যাতে এই আলোচনাটা চলে।’
অন্যদিকে প্রসেনজিতের সঙ্গে প্রেমের প্রশ্নে ঋতুপর্ণা জানান, পরের প্রজন্মও যেন তার সঙ্গে প্রসেনজিতের প্রেমের বিষয়টি হাতরে বেড়ান, সেটি তিনিও চান। মানে এই দুই তারকাই নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টি রহস্যময় করে রাখতে আগ্রহী। প্রসেনজিৎ বলেন, কিছু সম্পর্ক বিশ্লেষণের বাইরে; সেটাকে বিশ্লেষণের বাইরে রাখাই ভালো।
মন্তব্য করুন