বাংলা চলচ্চিত্রের স্মরণীয় বৃহৎ আসর হয়ে গেল নিউইয়র্কে। পর্দা নামল সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে দুই দিনব্যাপী উৎসবের শেষ দিন রোববার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়।
এতে বাংলাদেশ, ভারত ও এই দুই দেশের অভিবাসী ক্যাটাগরিতে ২৫টি পুরস্কার দেওয়া হয়। শিশুতোষ চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল পরিচালিত বাংলাদেশের সিনেমা ‘মাইক’ পুরস্কৃত হয়। উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় হাওয়া (বাংলাদেশ), দোআঁশ (ভারত) ও রেডিও (অভিবাসী)। সুচিত্রা সেন অনারারি অ্যাওয়ার্ডস তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের নায়ক ফেরদৌস আহমেদ, ভারতীয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা ও চিত্র পরিচালক রেশমী মিত্রের হাতে। এ ছাড়াও শ্রেষ্ঠ পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন (হাওয়া) ও সায়ান বন্দ্যোপাধ্যায় (ভারত) এবং শ্রেষ্ঠ ডেব্যু পরিচালক হন যথাক্রমে হৃদি হক (বাংলাদেশ) ও অভিজিৎ শ্রীদাস (ভারত)। শ্রেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী (পুরুষ বাংলাদেশ) চঞ্চল চৌধুরী, যৌথভাবে প্রসেনজিত ও কৌশিক গাঙ্গুলি (ভারত) ও রাজুব ভৌমিক (অভিবাসী)। শ্রেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী (নারী বাংলাদেশ) নির্বাচিত হন নাজিফা তুশি (বাংলাদেশ), পায়েল সরকার (ভারত) ও সিন্ডি রোলিং (অভিবাসী)। শ্রেষ্ঠ সিনেমাটোগ্রাফার কামরুল হাসান খসরু (বাংলাদেশ) ও শুভজিৎ রায় (ভারত)।
উৎসবে শর্ট ফিল্ম ছুরত (বাংলাদেশ), রজনীগন্ধা (ভারত) এবং লাইট ক্যামেরা মেগা! ও তৃতীয় রিপু (অভিবাসী) পুরস্কার পায়। ডক্যুফিল্ম-এ পুরস্কার পায় ড. নূরুন নবী: একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা (অভিবাসী-বাংলাদেশি), বাউল: সউল অব বেঙ্গল (অভিবাসী-ভারত)।
শিশুতোষ ক্যাটাগরিতে- চলচ্চিত্র মাইক (বাংলাদেশ) ও মানিক কাকুর ক্যামেরা (ভারত)।
পপুলার ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী (পুরুষ) শাকিব খান ও শ্রেষ্ঠ অভিনয় শিল্পী (নারী) নির্বাচিত হন তমা মির্জা। গত ২০ ও ২১ এপ্রিল নিউইয়র্কে জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে দুই দিনের অনুষ্ঠানে মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। দুদিনই পাঁচশ আসনের হলটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দ্বিতীয় দিন হাজারো মানুষ অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে না পেরে লবিতে, বাইরের প্রাঙ্গণে আড্ডা দিয়ে সময় কাটান। অনেকে ফিরেও যান। এজন্য উৎসবের আয়োজক সংগঠন সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল ইউএসএ'র প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব কমিটির আহ্বায়ক গোপাল সান্যাল দুঃখ প্রকাশ করেছেন। দুদিনের উৎসবে সাংস্কৃতিক পর্ব ও অ্যাওয়ার্ডস সিরিমনিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাংলা ও ভিন্ন ভাষাভাষীর শিল্পীরা জমকালো বিনোদন অনুষ্ঠান উপহার দেন। আয়োজন ছিল নাচ, গান, ফ্যাশন শোর। ভিন্নধারার এসব অনুষ্ঠান দর্শকরা দারুণ উপভোগ করেন। বাংলাদেশ, ভারত, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় অর্ধশত অভিনেতা, অভিনেত্রী, নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক, সিনেমাটোগ্রাফারসহ কলাকুশলীগণ উৎসবে যোগ দেন।
মন্তব্য করুন