টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি বরাবরই ঠোঁটকাটা স্বভাবের। ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিজীবন সোজাসাপটা কথা বলে বছরজুড়েই থাকেন আলোচনায়। এমনকি মাঝেমাঝে মুখ খোলেন নিজের প্রেমের বিষয়েও। দীর্ঘ ১৫ বছর আগের পুরোনো প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন এখনো। সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে তোলা ছবিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অন্যদেক টালিউডের প্রেমিক পুরুষ বলা হয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। ক্যারিয়ারে বিভিন্ন সময় একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন তিনি। এ তালিকায় ছিলেন স্বস্তিকাও। ১৫ বছর আগে সম্পর্ক ছিল তাদের। পরমব্রত এখন কণ্ঠশিল্পী পিয়ার স্বামী। গায়ক অনুপম রায়ের সাবেক স্ত্রী ছিলেন পিয়া।
পিয়া-পরমব্রতের বিয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বস্তিকাকে টেনে বিভিন্ন মন্তব্য করে নেটিজেনরা। কেননা বিভিন্ন সময় পরমব্রতের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে সাবেক প্রেমকে ‘বন্ধুত্ব’ বলে উল্লেখ করেন অভিনেত্রী। এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনন্দবাজারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন স্বস্তিকা। সাবেকের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘অনেকে কূটচালিও করে। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নয়, চারপাশেও অনেক আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশী আছে। কিন্তু তাদের কখনোই পাত্তা দিই না আমরা। সব আত্মীয়দের কিন্তু ভালো লাগে না। পেছনে পড়ে থাকলে কিছু কথা বলবে। আগে তারা আড়ালে বলত, এখন সোশ্যালে মিডিয়ায় বলে প্রকাশ্যে। কিন্তু এসবে ব্যস্ত হয়ে পড়ি না’।
পরমব্রতের বিষয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘নববর্ষের পার্টিতে সৃজিত ও পরমব্রতের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলাম—সাবেক বলে কিছুই হয় না। কারণ আমরা তো বলি বিয়ের পাঁচ-ছয় বছর হলে স্বামী-স্ত্রীও ভাই-বোন হয়ে যায়। ১৫ বছর আগের সাবেক কি সাবেকই থেকে যাবে?’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমরা একই জায়গায় কাজ করি। ভালো-মন্দের মধ্যে আমিও মিশে আছি। অনেকদিন হলে কারও খারাপ দিক মনে থাকে না। পরম-সৃজিত যা-ই হোক, যখন তাদের কথা ভাবি তখন কিন্তু ভালোগুলোই মনে পড়ে। খারাপ মনে রাখলে আমাদেরই ক্ষতি। তিক্ততা জমিয়ে রেখে কী লাভ? যদি পরমের কথা ভাবি তাহলে ওর ভালো বিষয়গুলোই মনে পড়ে। এজন্য হয়তো সে বাড়ি ফেরার সময় জড়িয়ে ধরে বলতে পারি, ভালো থাকিস।’
স্বস্তিকা বলেন, ‘পিয়াকে আমি অনেক দিন ধরে চিনি ও জানি। খুব ভালো লাগে ওকে। পরমকে বলেছিলাম, ডাকিস, তোর জন্য না হলেও পিয়ার জন্য আমি যাব। পিয়ার স্বামী কে? সেটি আমার কাছে জরুরি নয়। আমি সে রকম কোনো মানুষ নই যে, কাউকে জড়িয়ে ধরে তাকে ভালো থাকতে বলতে পারব না। আর কারও সঙ্গে তো আমার দেখাদেখি বা যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। আমাদের পেশায় সেটি সম্ভবও নয়। এমনটা হলে কতজনের সঙ্গে করব না? তাহলে তো বাড়িতে বসে থাকতে হবে’।
মন্তব্য করুন