নববর্ষ মানেই বাঙালির প্রাণের উৎসব, আর এই দিনটি ঘিরে সবারই থাকে কিছু না কিছু স্পেশাল স্মৃতি। জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তীর কাছেও পহেলা বৈশাখ মানে শুধু নতুন জামা আর মিষ্টি খাওয়া নয়, বরং একরাশ আবেগ, পরিবারের সঙ্গে কাটানো সোনালি মুহূর্তের গল্প। নববর্ষের সকালে শাড়ি পরে আয়নায় নিজেকে দেখে যে আনন্দ হতো, তা আজও ভুলতে পারেন না এই সুন্দরী। তবে অভিনেত্রী এবার পহেলা বৈশাখ শুটিং সেটে উদযাপন করলেও সোনালি স্মৃতির সেই ঝাঁপি খুলে জানালেন অভিনেত্রীর ছোটবেলার বৈশাখ-রোমাঞ্চের কথা।
ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে মিমি বলেন, প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে আমাদের বাড়িতে পূজা হয়। ছোটবেলা থেকেই সেই রীতি দেখে আসছি। এদিন আমাদের বাড়ির সব ঠাকুররাও নতুন জামাকাপড় পরেন। শুধু নিজেরা নতুন পোশাক পরলেই হবে? এছাড়াও মৌসুমের প্রথম ফল ওনাকেই উৎসর্গ করা হয়। সারা বছর কাজের সূত্রে তো সবার তেমন একসঙ্গে হওয়া হয় না। তাই পহেলা বৈশাখে সবাই একজোট হওয়ার চেষ্টা করি।
তিনি আরও বলেন, ছোটবেলায় মা বলতেন, ‘নতুন বছরে তুমি যা করবে, সারা বছর সে রকমই চলবে।’ তাই কাজ দিয়ে শুরু করাটাই আমার মনে হয়, সব থেকে ভালো। আর কাজ মানেই আমার কাছে ‘হ্যাপি প্লেস’। এবারের পহেলা বৈশাখে আমার ‘রক্তবীজ টু’-এর শুটিং রয়েছে। সেটেও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নববর্ষে খাওয়া-দাওয়া আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পহেলা বৈশাখ বলে নয়, আমি বরাবরই খাদ্যরসিক। কিন্তু যেদিন থেকে নিরামিষাশী হয়ে গিয়েছি, সেদিন থেকে অবশ্য খুব একটা খাওয়া হয় না। অগত্যা মিষ্টিটাই এখন আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। নতুন বছরের শুরুটা হোক মিষ্টি দিয়েই। বছরভর মিষ্টি কাটুক, এই কামনা রাখি। আমি যেহেতু পোলাও খেতে খুব ভালোবাসি, তাই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাড়িতে পোলাও রান্না হবে।
নববর্ষে হালখাতার স্মৃতি মনে করে মিমি বলেন, ছোটবেলায় জলপাইগুড়িতে এই দিনটায় মা-বাবার সঙ্গে হালখাতায় যেতাম। এছাড়াও সারাদিন সব আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে হইহই করে কাটাতাম। দিদু আমাদের সবাইকে নতুন জামা দিতেন। আর ওই নতুন জামা পরেই পূজায় বসতাম। আমার মামার যেহেতু নিজের হোলসেল মুদিখানার দোকান রয়েছে। কাজেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পূজা হতো। তাই সকাল সকাল মামার দোকানে পৌঁছে যেতাম। আমার দায়িত্ব ছিল- তরমুজ কাটা। কখনো কখনো আবার ফলফলাদি সাজিয়ে রাখা।
মিমিকে সবশেষ দেখা যায় চলতি বছরের ১৪ মার্চ হইচই-এ মুক্তি প্রাপ্ত ‘ডাইনি’ নামের টিভি সিরিজে। সিরিজটিতে পরিচালনা করেছেন নির্ঝর মিত্র এবং মিমির পাশাপাশি এই ফিল্মে অভিনয় করেছেন বিশ্বজিৎ দাশ, সুজিত কুমার বর্মণ, কৌশানী মুখোপাধ্যায়সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন