বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত : ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত : ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত : ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

আরজি কর ঘটনায় নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে আন্দোলন করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের প্রতিবাদে পৌঁছেই হামলার শিকার হন অভিনেত্রী।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, সেখানে উপস্থিত হয়ে ভেবেছিলাম, এত মানুষের প্রতিবাদ বৃথা যাবে না। মূলত সুবিচারের আশায় যাই। জমায়েতে যোগ দিয়ে মোমবাতি জ্বালাই। অথচ খানিক বাদেই বদলে গেল ছবিটা। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো। আমার উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন অনেকে। কেউ কেউ চার পাশ থেকে উলুধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ করল। এতে কিছু মনে করেছি, এমন না। সেসময় আমার গাড়িতে জুতো ছোড়া হলো। আমি দরজা খুলে তাদের বলেছিলাম আপনারা এমন করবেন না। আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। কিন্তু কেউ কোনো কথাই শুনলেন না। আসলে আমার মনে হয়, কিছু মানুষ প্রতিবাদের কথা মাথায় না রেখে, হুজুগে চলে গিয়েছিলেন জমায়েতে।

তিনি আরও বলেন, আমি বুঝেছি সবাই ক্ষুব্ধ। কিন্তু কলকাতার প্রতিবাদী চেহারার মধ্যে এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত। আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত। আমি একজন অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে, একজন নারী হিসেবে অন্য মহিলার পাশে দাঁড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু বিরাট সংখ্যক মত্ত এই ঘটনা ঘটাল। আচমকাই একটা জনস্রোত ধাক্কা দিতে শুরু করল। চারদিকে এত চিৎকার হচ্ছিল যে, কারও কোনো কথা শুনতে পাচ্ছিলাম না।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, আমি তো কাল কোনো তারকা হিসেবে না, মানুষ হিসেবে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে যে ঘটনাটা ঘটলো, সেখানে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মাও এসেছিলেন। ভেবেছিলাম, একবার দেখা করব তাদের সঙ্গে। তাদের বলার ইচ্ছা ছিল লড়াইয়ের আমিও রয়েছি। সেটি আর হলো কোথায়? তবে এই ঘটনার পর আমি থেমে যাব, এমন মা। আমার মনের মধ্যে প্রতিবাদ থাকবে। আমিও একই ভাবে সুবিচার চাইব। সেটা থামবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘এখন কেউ চাইলেই ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না’

বাংলাদেশের কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: উইলিয়ামস

বর্তমান অবস্থায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় : খলিলুর রহমান

জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা

অটোরিকশা নালায় পড়ে শিশু নিখোঁজ, মা উদ্ধার

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

কুয়েটে আন্দোলনকারীদের গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি 

এবার লা লিগার সূচি নিয়ে বার্সা কোচের ক্ষোভ

ইসরায়েলের ‘অসম্ভব শর্ত’, প্রত্যাখ্যান করল ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা

নির্বাচনের জন্য সংস্কার খুব জরুরি : এ্যানি

১০

বিশ্বকাপে পাকিস্তান, জ্যোতিদের যে সমীকরণ

১১

‘হাসিনার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সবাইকে সজাগ হতে হবে’

১২

আফগান সরকারকে সুখবর দিল রাশিয়া

১৩

কাশ্মীর পাকিস্তানের ‘গলার শিরা’, ভারতের প্রতিক্রিয়া

১৪

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন যাত্রা নিয়ে যা বলছেন বিশ্লেষকরা

১৫

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে না পেয়ে ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার 

১৬

রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না : সাইফুল হক

১৭

পুরোনো শত্রু মিত্র হওয়ার অনেক উদাহরণ আছে : উপ-প্রেস সচিব

১৮

গাজীপুরে দুই শিশুকে হত্যা, পুলিশ হেফাজতে বাবা-মা

১৯

‘নতুন করে আর কোনো সরকারকে স্বৈরাচার হতে দেওয়া হবে না’

২০
X