সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য কিংবদন্তি গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুরস্কার পেয়ে গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। আমি খুবই আনন্দিত। তবে যে কারণে আমি বেশি খুশি সেটি হলো পুরস্কারের জন্য আমাকে কোনো আবেদন করতে হয়নি। আমি কোনো আবেদন করিনি। এমনকি কাউকে দিয়ে সুপারিশও করাইনি কখনো। কে আবেদন করেছে তাও আমি জানি না। এই কারণেই আমার আনন্দ একটু বেশি।’
আধুনিক, চলচ্চিত্র ও দেশাত্মবোধক গানে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান অবদান রেখেছেন। চলচ্চিত্রের গানে তার অবদান প্রশংসনীয়।
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ‘সেই রেললাইনের ধারে মেঠোপথটার পারে দাঁড়িয়ে’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক’, ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে ভালোবাসা চাওয়াটাই ভুল’, ‘যদি মরণের পরে কেউ প্রশ্ন করে’, ‘আমার মন পাখিটা যা রে উড়ে যায়’, ‘আমার বাউল মনের একতারাটা’, ‘চির অক্ষয় তুমি বাংলাদেশ’, ‘পদ্ম পাতার পানি নয়, দিন যাপনের গ্লানি নয়’, ‘মাঠের সবুজ থেকে সূর্যের লাল’, ‘যেখানে বৃষ্টি কথা বলে’, ‘আমি নদীর মতন বয়ে বয়ে’, ‘শুক পাখিরে, পিঞ্জিরা তোর খুলে দিলাম আজ’, ‘আকাশের সব তারা ঝরে যাবে’ এবং ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার শত্রু বলে গণ্য হলাম’।
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে ‘চন্দ্রনাথ’, ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার এবং ২০০৮ সালে ‘মেঘের কোলে রোদ’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনিকারের জাতীয় চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন