দ্বিতীয় বিয়ের পর সমালোচনার মুখে পড়েন গায়ক ও সংগীতপরিচালক আরফিন রুমি। প্রথম স্ত্রী গায়িকা লামিয়া ইসলাম অনন্যাকে তালাক না দিয়েই তিনি যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী কামরুন নেসাকে বিয়ে করেন। তখন কথা উঠে, যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হওয়ার লোভেই রুমি এ কাণ্ড করেছেন। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর মামলায় গ্রেপ্তারও হন তিনি। অপরদিকে রুমির যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার গুঞ্জনও সত্যি হয়। এত দিন এসব নিয়ে চুপ থাকলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন এ শিল্পী।
আরফিন রুমি বলেন, ‘২০১৩ সালে যখন দ্বিতীয় বিয়ের পর আমি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই তখন অনেকেই মনে করেছেন, আমি হয়তো আর দেশে ফিরবো না। সেখানেই স্থায়ী হয়ে যাব। কিন্তু তাদেরকে ভুল প্রমাণ করেছি। আমি দেশেই থেকেছি। আমার স্ত্রী-সন্তান সেখানে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়ে যাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিডিয়ার কারও সঙ্গে কখনো আমার সম্পর্ক হয় নাই। ক্যামেরার সামনে যেমনটা দেখা যাচ্ছে, মিডিয়ার মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা তেমনি। দর্শকদের অভিযোগ ছিল, রুমি কেন আরেকটি বিয়ে করলেন। আমি মিডিয়ার বাইরের মেয়েকে বিয়ে করেছি। আসলে, খাটে যখন ঘুণ ধরবে, তখন খাট চেঞ্জ করতে হবে। আমিও চেঞ্জ করার জন্য আরেকটি নতুন খাট আগেই কিনে ফেলেছিলাম; যার জন্য দর্শকদের বিষয়টি ভালো লাগেনি।’
২০০৮ সালে লামিয়া ইসলাম অনন্যাকে বিয়ে করেন রুমি। এর চার বছরের মাথায় ২০১২ সালে কামরুন নেসাকে বিয়ে করেন। রাজধানীর পুরান ঢাকার গুলবদন দরবার শরিফে (রুমির দাদার বাড়ি) দ্বিতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ওই সময় প্রথম স্ত্রী অনন্যা, মা, বড় ভাইসহ উভয় পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর দুই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তোলা ছবি ফেসবুকে দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন এই শিল্পী।
পরে ২০১৩ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান রুমি। সংগীত জগত থেকে এক প্রকার হারিয়ে যান। তবে সম্প্রতি পড়শীর সঙ্গে ‘ওরে মন’ শিরোনামের একটি গান মুক্তি পেয়েছে তার। এ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন আরফিন রুমি।
মন্তব্য করুন