গত বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ হয়েছে ‘হাবু’ খ্যাত অভিনেতা চাষী আলমের। এরপর বিয়ে। শুক্রবার নববধূ তুলতুলকে ঘরে তুলেছেন তিনি।
পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও তুলতুলের সঙ্গে ছয় মাস আগেই পরিচয় হয়েছিল চাষীর। রাজধানীর উত্তরায় প্রথম দেখা হয় তাদের। চাষীর অভিনয়ের ভক্ত ছিলেন তুলতুল। পরিচয়ের কিছুদিন পর কথাবার্তা শুরু হয় দুজনের। মাঝেমধ্যে দেখাও করতেন। পরে চাষীর পরিবারের অন্য সদস্যরা তুলতুলকে দেখে পছন্দ করেন। সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন চাষী নিজেই।
প্রথম পরিচয়ের বিষয়ে চাষী জানান, তুলতুলের এক ভাগনে তার অভিনয়ের ভক্ত। উত্তরার এক দোকানে চাষী তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে চটপটি খাচ্ছিলেন। সেখানে ভাগনের সঙ্গে তুলতুলও এসেছিল চটপটি খেতে। পরে চাষীর সঙ্গে তুলতুল ও তার ভাগনে ছবি তুলেছেন। তার অভিনয়ের প্রশংসাও করেছেন দুজনে। সেদিনই প্রথম পরিচয় তাদের। তুলতুল তার ফোন নম্বর নিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পর দুজনের কথা আদান-প্রদান শুরু হয়। একটা পর্যায়ে পরস্পরের প্রতি ভালোলাগা কাজ করে। চাষীর ভাষায়—বেশি দিন প্রেমের স্বাদ নিতে পারেননি তিনি। তার চাচি ও মায়ের চাপাচাপিতে তাড়াতাড়িই বিয়ে হয়ে গেল তাদের। বিয়ের আগে তুলতুলের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ‘আংশিক বা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রেম’ নাম দিয়েছেন চাষী।
অভিনয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন চাষী আলম। পুরুষের পাশাপাশি অসংখ্য মেয়ে ভক্ত তার। তবে নারী ভক্তদের নিয়ে মোটেও বিরক্ত হবেন না তার স্ত্রী তুলতুল। চাষীর ভাষায়—তুলতুল সেরকম মেয়েই নয়। সে ওসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। চাষীর প্রতি ভক্তদের এমন ভালোবাসা বেশ উপভোগ করেন তুলতুল।
চাষীর স্ত্রী তুলতুল ইসলামের ডাক নাম মোহনা। সপরিবারে রাজধানীর বাড্ডায় থাকেন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তুলতুল সবার ছোট। তার বাবা ব্যবসায়ী, মা গৃহিণী। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন তুলতুল। আপাতত পড়াশোনা বন্ধ আছে। তবে তুলতুল চাইলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন চাষী আলম।
মন্তব্য করুন