বাংলা নাটকে ভিন্নধর্মী গল্প এখন যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। যেখানে প্রেম, প্রতারণা আর কনফিউশনেই আটকে থাকে বেশিরভাগ কনটেন্ট, ঠিক সেখানে ভিন্ন এক বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে নাটক ‘ডক্টর আদনান’। পরিচালনা করেছেন মীর আরমান হোসেন।
নাটকটি নির্মিত হয়েছে একজন মানবিক, নিবেদিতপ্রাণ ডাক্তারের জীবনকে কেন্দ্র করে- যার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। নিজের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রোগীদের সুস্থতার জন্য লড়াই চালিয়ে যায় এই চরিত্রটি।
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘ডক্টর আদনান’-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান। চরিত্রটিকে ঘিরেই মূলত আবর্তিত হয়েছে পুরো গল্প। জোভান নিখুঁত অভিনয়ে তুলে ধরেছেন একজন আদর্শ চিকিৎসকের দায়বদ্ধতা, আত্মত্যাগ আর মানবিকতা।
অন্যদিকে, নাটকে দেখা যায় সাদিয়া আয়মানকে, যিনি ভালোবাসার মানুষকে হারানোর নিশ্চিত খবর শুনেও শেষ মুহূর্তে তার হাত ধরে থাকেন-ভালোবাসা আর মমতার এক নিঃশব্দ প্রতিবাদ যেন এই চরিত্র।
নাটকের গল্পটি প্রথমে উঠে আসে জোভানের বেস্টফ্রেন্ড লিংকন আহমেদের মাথায়। এরপর হঠাৎ করেই জোভান গল্পটিকে স্ক্রিপ্টে রূপ দিতে শুরু করেন। নাটকের পরিচালক জানান, ‘গল্পটা যখন আমি প্রথম শুনি, আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। তখনই সিদ্ধান্ত নেই, এই গল্পটা আমি নির্মাণ করব।’
গল্পের মূল রচয়িতা হিসেবে জোভান থাকলেও, সংলাপ লেখার কাজে যুক্ত হন আরঙ্গজেব ও রিফাত আদনান পাপন। আর পুরো টিম মিলে নিজেদের সেরাটা দিয়ে গল্পটিকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
পরিচালক আরমান জানান, ‘আমরা নির্মাতারা আসলে একেকজন শিক্ষক। শিক্ষকরা হাতে-কলমে শেখায়, আমরা শেখাই ভিজুয়ালি। তাই আমরা কী শেখাচ্ছি, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই নাটকটি মূলত ডাক্তারের দায়িত্ববোধ, ত্যাগ আর মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা বলে। এটা শুধু বিনোদনের জন্য না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটা বার্তা।’
নাটকটির ভিউ হয়তো খুব বেশি না, কিন্তু দর্শকের প্রতিক্রিয়া বেশ ইতিবাচক। কমেন্টবক্স হোক বা ইনবক্স- পরিচালক ও টিম সদস্যরা পেয়েছেন দর্শকদের প্রশংসা আর ভালোবাসা।
পরিচালকের ভাষায়, ‘আজ পর্যন্ত একটা নেগেটিভ কমেন্টও পাইনি। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’ শেষে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডক্টর আদনান টিম এবং সব দর্শককে।
মন্তব্য করুন