‘শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন’ নাটকের শুটিং সেটে নির্মাতা ও সহশিল্পীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পাল্টা অভিযোগ আনেন সহঅভিনেতা আরশ খানের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ে শুটিং শেষ করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতি হয় নির্মাতা আদিবের। তাই এ বিষয়ে তিনি নাট্যনির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডে অভিযোগ করেন। সম্প্রতি বিষয়টির সাংগঠনিক সমাধান হয়েছে।
অভিনয়শিল্পী সংঘের রায়ে চমক দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রীকে। কিন্তু এমন নির্দেশের পর চমকের ভাষ্য কী?
অভিনেত্রী চমক কালবেলাকে বলেন, আসলে দোষ-নির্দোষের প্রশ্নটাই ওঠে না। সবাই কেন এ ধরনের নিউজ করছে আমি জানি না। প্রথমত, ওখান থেকে আমাকে এভাবে বলা হয়েছিল— দুপক্ষের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, সেটার একটা অবসান, যাতে কোনো অভিনয়শিল্পীর প্রতি কারও বিরূপ প্রতিক্রিয়া না থাকে।
তিনি আরও বলেন, এরপর ঘটনাটি এমনভাবে সবাই নিউজে প্রকাশ করছে— আমি মিথ্যা বলছি। আমাকে এভাবে এগ্রি করানো হয়নি ওখানে। এখানে বলা হয়েছে— আরশের সাথে ওই ঘটনার দিন উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে এমন কিছু হয়েছে যেটাতে একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন : চমকের অভিযোগ মিথ্যা, আরশ নির্দোষ
চমক বলেন, আমার দিক থেকে যেই অভিযোগ ছিল তারা বলল সেগুলো উঠিয়ে নিতে। আমাদের ভুল বোঝাবুঝির একটা সমাধান হয়েছে, এরকম একটি কথা ছিল। সেটাকেই সবাই লিখতেছে আমার অভিযোগ মিথ্যা। আরশ এখানে ফ্যাক্টরই না, এখানে ফ্যাক্টর অন্য কিছু। যা হয়েছে তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট না। এগুলো নিয়ে আমি অলরেডি একটা পোস্ট করেছি ফেসবুকে, যারা বুঝে নেওয়ার তারা বুঝে নেবে। এগুলো নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না।
চমকের ফেসবুকে দেখা যায় দুদিনে দুটি পোস্ট দিয়েছেন। প্রথমটিতে লিখেছেন, বাংলাদেশ একদমই একটি নারীবাদী দেশ। এখানে মেয়েরা সর্বস্থলে সবসময় নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারে। কোথাও কারও কাছে কিংবা কোনো পরাশক্তি বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করতে হয় না। নিরাপদে নির্ভীক থাকুক প্রতিটি মেয়ে।
আরও পড়ুন : অভিনেত্রী চমকের বিরুদ্ধে শুটিং সেটে ‘দুর্ব্যবহারের’ অভিযোগ
অপর পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, দিনশেষে সবদোষ নন্দঘোষের, আনন্দবাবু তো তুলসীপাতা তাও আবার ধোঁয়া, যায় না তাকে ছোয়া! নন্দঘোষের মুখে তালা, ভয়ভীতিও আছে, পাছে সবাই করে ছিঃ ছিঃ তারে, কেটে দেয় তার ডালপালা যদিও একটু বাড়ে! থাক, এবার না হয় বাঁচুক প্রাণ, কে নেবে, যদি রাখে ঈশ্বর মানির মান! দুষ্টু লোক এবার দিলেও ফাঁকি, মনে রেখো, তার হিসেব রইল শখানেক বাকি!
মন্তব্য করুন