‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’। স্বামী বিবেকানন্দের সর্বাধিক উদ্ধৃত উক্তি এটি। যে ব্যক্তি প্রতিনিয়ত আর্তপ্রাণ ও নিপীড়িত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে সক্ষম হয়েছেন, তিনিই প্রকৃতপক্ষে স্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ঠ উপাসক ও সাধক। আমাদের মাঝেই আছেন এমন কিছু মানুষ যারা ভালোবাসা ছড়িয়ে দেন সবখানে, সকল প্রাণে। তাদের সেই ভালোবাসা, যত্ন আর মায়ায় বেঁচে থাকে অসহায় ও অবহেলিত অনেক পশু-পাখিও। অন্যদিকে প্রাণীর ভালোবাসার বিশালতাও কল্পনাকে হার মানায়। অসীম ভালোবাসার ক্ষমতা নিয়ে জন্মানো প্রাণীকুলের ভালোবাসার প্রতিদান কখনো কখনো মানুষকেও ছাপিয়ে যায়। তেমনই একটি চরিত্র ‘টাইসন’ নামক একটি কুকুর।
নতুন বছরের প্রথম দিনে মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় তারকা জুটি নিলয় আলমগীর ও হিমির বছরের প্রথম নাটক ‘পাগলের সুখ মনে মনে’-তে অভিনেতা, নির্মাতাদের পাশাপাশি অভিনয় করতে দেখা গেছে একটি কুকুরকে। পর্দায় তার অনবদ্য অভিনয় দেখে অবাক দর্শকরা। গল্পে নিলয় আলমগীর অভিনীত ‘পাগলা সুমন’ চরিত্রকে আর্ত মানুষ ও পশুপ্রেমীরূপে দেখা যায়। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গীর বাহিরে গিয়ে তার এ অনন্য মানবতার নজির উল্টো তাকে ‘পাগলা’ উপাধি দেয়।
সুমন এক্সিডেন্টে আহত একটি কুকুরকে এনে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তাকে ভালোবাসা দিয়ে পালন করেন। আদর করে তাকে ‘টাইসন’ নামে ডাকেন। কোলে তুলে মমতা দিয়ে খাওয়ান নিয়মিত। কেউ তাকে আঘাত করলে খেপে যান। তার এ খেপাটে ভাব যেমনি তার চরিত্রের পূর্ণতা দেয় তেমনি কুকুরটিও সেই ভালোবাসার প্রকাশ দেখিয়ে দৃশ্যকে জীবন্ত করে তোলেন। শেষ দৃশ্যে যখন পাগলা সুমনকে মেরে ফেলে রেখে যাওয়া হয় তখন ‘টাইসন’-কে তার দিকে ছুটে গিয়ে সুমনকে আদর করতে দেখা যায় যা ভালোবাসার প্রতিদানের অনন্য দৃশ্য বলা চলে।
জানা যায়, কুকুরটি নিলয় আলমগীরের ব্যক্তিগত পোষ্য। যে কারণে নিলয়ের প্রতি তার এ ভালোবাসার প্রকাশ। আর সে কারণেই কুকুরটি নিজের অজান্তেই অভিনয়ে অংশ নিয়ে অনবদ্য পারফর্ম্যান্স করে।
মন্তব্য করুন