অভিনেতা কোহিনূর আলম। দীর্ঘ সময় ধরে মঞ্চ, টেলিভিশন ও সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। এরই মধ্যে অভিনয়ে তিন দশক পার হয়েছে তার।
১৯৯০ সালে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। এই দলের হয়ে ‘সি মোরগ’ নাটকে অভিনয় করে দর্শককে মুগ্ধ করেছিলেন কোহিনূর। এরপর ২০০০ সালে এই দল ছেড়ে যোগ দেন ‘নাট্যজন’-এ। নাট্যজন’র হয়ে তিনি মঞ্চে অভিনয় করেন ‘তেভাগার পালা’ ও ‘অলীক বাবু’ নাটকে। এই দুটি নাটকেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। তবে দলটির প্রতিষ্ঠাতা তবিবুল ইসলাম বাবুর প্রয়াণের পর দলটির কার্যক্রম এখন আর আগের মতো নেই। কোহিনূরও নেই এই দলে। তিনি এখন ‘নাট্যতীর্থ’র সাথে যুক্ত আছেন। এই দলের হয়ে ‘দ্বীপ’ ও ‘জুলিয়াস সিজার’ নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন।
টিভিতে কোহিনূর প্রথম অভিনয় করেন সদ্য প্রয়াত নাট্যপরিচালক মনির হোসেন জীবন পরিচালিত ‘অনাকাঙ্ক্ষিত সুখ’ নামক একটি ধারাবাহিক নাটকে। তবে এই নাটকটি প্রচারে আসেনি। তার অভিনীত প্রথম প্রচারিত টিভি নাটক রবিন খানের ‘স্বপ্নের সিঁড়ি’। এরপর তিনি আমজাদ হোসেন, সাইদুল আনাম টুটুল, ফেরদৌস হাসান রানা, চয়নিকা চৌধুরী, সৈয়দ শাকিল, এস এ হক অলিক, মুরাদ পারভেজ, জুয়েল মাহমুদ’সহ আরো অনেক পরিচালকের নাটকে অভিনয় করেছেন। মো. আবুল হাশেম ও মঞ্জিলা বেগমের সন্তান কোহিনূর আলমের প্রথম সিনেমাতে অভিনয় প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শাস্তি’ সিনেমায়। এর পরপরই তিনি নায়িকা কবরী পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘আয়না’তে অভিনয় করেন। নিজের অভিনয় জীবনের পথচলা প্রসঙ্গে কোহিনূর বলেন,আমার তো আসলে অভিনেতা হওয়ারই কথা ছিল না। একজন ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল আমার। স্কুল কলেজে পড়ার সময় টুকটাক অভিনয় করতাম। আর স্কুল কলেজ পালিয়ে সিনেমা দেখতাম। তো বন্ধু রোমেনের দুই বোনের বাংলাদেশ থিয়েটারে যাওয়া দেখে, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে আমারও অভিনয় করার শখ জাগে। হয়ে গেলাম অভিনেতা। আর এখন তো অভিনয় ছাড়া আর কিছুই পারি না। তাই আজীবন অভিনয়টাই ভালোবেসে করে যেতে চাই। কৃতজ্ঞ আমি সবার প্রতি যারা আমাকে নিয়ে কাজ করেছেন, অভিনয় করার সুযোগ দিয়েছেন।
কোহিনূর অভিনীত সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘দেবদাস’, ‘বিয়ে বাড়ি’,‘ দুই পুরুষ’, ‘বৃহন্নলা’,‘ চন্দ্রগ্রহন’,‘ এই তো প্রেম’সহ বেশকিছু সিনেমা। তার অভিনীত আলোচিত নাটকের মধ্যে ‘মহানগর’,‘ রেডিও জকি’,‘ মানবজমিন’,‘ নাইওরী’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
মন্তব্য করুন