নব্বই দশকের পর থেকে দেশের যুবসমাজের কাছে এক ব্যান্ড শিল্পী শরিফুজ্জামান সোহাগ। ‘লাল শাড়ি পরিয়া কন্যা’ গানের মধ্য দিয়ে অভিষেক ঘটে ভাটিয়ালি ব্যান্ডের এ প্রতিষ্ঠাতা। সে সময়ের বেশ কিছু গানের মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে মুহূর্তে আলোড়ন সৃষ্টি করেন এই শিল্পী। শুধু তাই নয় (২০০০-২০১০) অবধি মিউজিক ইন্ড্রাস্টিতে পরিচিত গানগুলোর মধ্যে বেশি জনপ্রিয় ছিল তার এই গানটি! অতি সম্প্রতি কালবেলার মুখোমুখি হয়েছেন এই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। জানিয়েছেন শুরুর দিকের পর্দার আড়ালে থাকা বেশ কিছু দুর্দশার কথা। এসময় দেশজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় ও আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘লাল শাড়ি পরিয়া কন্যা’সহ জনপ্রিয় গানের রহস্য ফাঁস করেন তিনি।
ভাটিয়াল ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও দক্ষিণবঙ্গের কণ্ঠশিল্পী শরিফুজ্জামান সোহাগ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর সংগীত জগতে রয়েছি। ‘লাল শাড়ি পরিয়া কন্যা’ গানটি আমার সংগীত জীবনে সর্বকালের জনপ্রিয় গানের মধ্য অন্যতম একটি। গানের জগতে পদার্পণের শুরুর দিকে ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত কে টি সিরিজের সঙ্গে একটি লিখিত চুক্তি হয়। ২০০৭ সালের পরে যখন ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম চলে আসে তখন কে টি সিরিজের কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। সে সময় কেটি সিরিজ তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধের একটি সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় আমার কোনো অনুমতি ছাড়া আমার সব গান সিডি জোনের কাছের ডিজিটাল চুক্তিতে বিক্রি করে দেয়। যে বিষয়টি আমি কোনোভাবে অবগত ছিলাম না কিংবা আমার সঙ্গে সিডি জোনের কোনো লিখিত চুক্তিপত্র হয় না। সিডি জোন আমার সব গান নিয়ে অনেক বাণিজ্য করেছে, একই সঙ্গে তাদের এই কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করলেও আমার সঙ্গে কখনো সমন্বয় করেনি। এসময় তার সমগ্র গান ফেরত পাওয়াসহ ক্ষতিপূরণের দাবি জানান জনপ্রিয় এই গায়ক।
এ বিষয়ে কে টি সিরিজের মালিক এনায়েত হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটি অনেক পুরাতন কথা সঠিক মনে করতে পারছি না। শিল্পী সোহাগের সঙ্গে আমার কেটি সিরিজের চুক্তি ছিল ২০০৭ সাল পর্যন্ত পরে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ায় শিল্পীদের গানগুলা সিটিজেনকে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট শিল্পীদের অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
সিটি জোনের মালিক আব্দুল্লাহ বুলু কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এসব বিষয়ে আপনার সঙ্গে কেন কথা বলব? এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়, ব্যক্তিগতভাবে আমি কেটি সিরিজের থেকে নিয়েছি।
শিল্পীর অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি শিল্পীর কোনো অভিযোগ থাকে তবে সে মামলা করুক। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাই না।
মন্তব্য করুন