প্রকৃতির মাঝে শীতকাল এসে গেছে। খোলা মাঠে শিশিরে ভেজা ঘাস আর মিষ্টি আলোর ঝলকানিতে উদয় হচ্ছে সুয্যিমামা। এ সময়, গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে, হাতে নানারকম পিঠা আর মিষ্টি নিয়ে সিনেমার আমেজ নেওয়াটা একেবারে আলাদা অনুভূতি।
শীতের এই শীতল সন্ধ্যায় পরিবারের সঙ্গে বসে শীতকালীন সিনেমা দেখাটা যেন কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা হয় না। আমাদের আজকের আয়োজন শীতকালীন ৫টি সেরা সিনেমা নিয়ে।
দ্য কাটিং এজ
১৯৯২ সালে পল মাইকেল গ্লেজারের পরিচালনায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা দ্য কাটিং এজ। এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডি. বি. সুইনি এবং মোইরা কেলি।
সিনেমাটিতে দেখা যায়, কেট একজন পেশাদার ফিগার স্কেটার এবং তার একমাত্র স্বপ্ন হলো অলিম্পিকে সোনার মেডেল জেতা। দুর্ভাগ্যবশত তার খারাপ আচরণের কারণে প্রতিটি পার্টনার তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরই মধ্যে ডাগ নামে এক প্রাক্তন হকি প্লেয়ার কেটের সঙ্গে পার্টনার হওয়ার জন্য রাজি হয়। শীতকালীন গেমসে তারা একসঙ্গে স্কেটিং করবে। প্রথমে তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক থাকে না, তবে ধীরে ধীরে তারা বুঝতে পারে তাদের মধ্যে ভালোবাসার এক ধরনের বন্ধন রয়েছে।
উইন্টার ইন ভেইল
উইন্টার ইন ভেইল ২০২০ সালে টেরি ইনগ্রামের পরিচালনায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন লেসি চাবেয়ার্ট এবং টেইলার হাইন্স।
সিনেমাটিতে দেখা যায়, সব ছুটির আনন্দের পরেও, শীতকাল কিছুটা চাপের হতে পারে। কিন্তু যখন চেলসি জানতে পারে যে তিনি ভেইল, কলোরাডোতে একটি শ্যালেট উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন, তখন আর দেরি করেননি।
তিনি দ্রুত সেখানে চলে যান একটি আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য। কিন্তু চেলসি তখনো জানতেন না যে, তার এই ভ্রমণটি শুধু রিল্যাক্সের জন্য নয়; বরং প্রেম এবং নতুন রোমাঞ্চের এক গল্পে পরিণত হবে।
টগো
২০১৯ সালে অব্যক্ত সত্য ঘটনার অবলম্বনে এরিকশন কোরের পরিচালনায় নির্মিত সিনেমা টগো। সিনেমাটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উইলেম ড্যাফো এবং জুলিয়ান নিকলসন।
সিনেমাটিতে দেখা যাবে, সত্য ঘটনাভিত্তিক এই গল্পে উইলেম ড্যাফো অভিনয় করেছেন সেই পেশাদার ডগসলেড ট্রেইনার হিসেবে, যিনি ১৯২৫ সালে তার প্রধান কুকুরের সঙ্গে আলাস্কার তুন্দ্রায় এক কঠিন যাত্রা শুরু করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটি ছোট শহরের মানুষের জীবন রক্ষা করা, যেখানে মানুষগুলো বিপদের সম্মুখীন হয়েছিল।
এই অভিযানটি ছিল সাহস, প্রতিকূলতা এবং সহানুভূতির এক অসাধারণ গল্প, যা সিনেমার মাধ্যমে দর্শকের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। আলাস্কার বরফাচ্ছন্ন পরিবেশে এই সাহসিক যাত্রা শুধু বেঁচে থাকার লড়াই ছিল না; বরং একটি ছোট শহরের জন্য মানবিকতা এবং সহানুভূতির প্রতীক হিসেবে চিত্রিত হয়েছে।
এইট বিলোও
ফ্রাঙ্ক মার্শাল পরিচালিত এইট বিলোও সিনেমাটি হৃদয়স্পর্শী গল্পের। সিনেমাটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন পল ওয়াকার ও জ্যাসন বিগস।
সিনেমাটিতে দেখা যায়, একদল কুকুর তাদের পশু অনুভূতি এবং শক্তি দিয়ে ভয়ংকর শীতকালীন পরিবেশে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যায়। একই সময়ে পল ওয়াকার অভিনীত চরিত্র জেরি তার প্রিয় কুকুরগুলোকে উদ্ধার করার জন্য এক অসম্ভব অভিযান শুরু করে।
এই ছবিতে দেখা যাবে, কুকুরের প্রতি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং সম্পর্কের গভীরতা, যা সিনেমার মাধ্যমে দর্শককে মুগ্ধ করবে।
স্নো বাডিস
২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি স্নো বাডিস। সিনেমাটি পরিচালনা করেন রবার্ট ভিন্স এবং মুখ্য চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেন জিমি বেনেট, মাইক ডপুড ও জন ক্যাপেলোস।
স্নো বাডিস হলো পারিবারিক কমেডি-অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা। এটি হলো এয়ার বাড সিরিজের একটি স্পিন-অফ, যেখানে মূল চরিত্র হিসেবে কুকুরদের গল্প বলা হয়েছে, যারা একসঙ্গে একটি বড় অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেয়।
মন্তব্য করুন