বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় উত্তাল রয়েছেন বিনোদন অঙ্গন। ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) অভিনেত্রী ময়ূরীর মেয়েকে এক ইউটিউবার ‘আপত্তিকর’ প্রশ্ন করার জের ধরে ইউটিউবার, শিল্পী ও সাংবাদিকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে গেছে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরীর নাম। কিছুসংখ্যক ইউটিউবার ও সাংবাদিক তাকে বয়কটের ডাকও দিয়েছেন।
এ নিয়ে জয় চৌধুরীর স্ত্রী রোমানা ইসলাম নীড়ের দাবি ষড়যন্ত্রের শিকার এই নায়ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এমনটাই লিখেন তিনি।
নীড় লিখেন, এই ১১ বছরের ফিল্ম জীবনে কেউ বলতে পারবে না জয় কারও সঙ্গে কোনোদিন কোনো বিষয় নিয়ে বেয়াদবি করেছে। শুধু সাংবাদিক ভাইয়েরা না চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত কোনো একটা মানুষ বলতে পারবে না । এমনকি আমাদের বিএফডিসিতে যে ঝাড়ুর কাজ করে তার সাথেও হেসে কথা বলে তাদের সমস্যায় তাদের পাশে থেকেছে। এতটাই ভালোবাসা পেয়েছে সে যে শিল্পীরা তাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে শিল্পীদের নেতা বানিয়েছে। ২৩ তারিখ কী এমন হলো যে এই পরিবেশ হলো?
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে চিত্রনায়িকা নীড়ের ভাষ্য, আপনার শিল্পীকে কেউ বাউন্ডারি ক্রস করে মারতে আসবে আর আপনি কী সেটা চেয়ে চেয়ে দেখবেন? এটাই কী কাম্য আপনাদের? ভিডিওতে সবাই দেখেছে শিল্পী সমিতির বাউন্ডারি ক্রস করে একজন ভেতরে ঢুকছিল শিল্পীকে আঘাত করার জন্য সেটা দেখে আর একজন শিল্পী প্রতিবাদ করেছে ! এটাইতো শিল্পীদের ধর্ম হওয়া উচিত। খুব অবাক হলাম একা জয় চৌধুরীকে দোষ দিয়ে তাকে কোণঠাসা করা হচ্ছে? এটা কী কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে না?
এরপর তিনি আরও লিখেন, সালমান শাহ, শাকিব খানদের মতোই টার্গেট জয়, এমনটাই মনে করে নীড় বলেন, যদি বিচার করতেই হয়- আসেন সমান বিচার করতে শিখি? ওখানে কী এমনি এমনিই শিল্পীরা ক্ষিপ্ত হয়েছিল? আসেন আরও সহজভাবে বলি ওখানে কী এক হাতে তালি বেজেছিল? যে ছেলেটা ১১ বছর কারও সাথে কোনোদিন এক মিনিটের জন্য বেয়াদবি করেনি সে হঠাৎ করেই রেগে গেল? যুগে যুগে আমাদের চলচ্চিত্রে হয়ে এসেছে যে একটু মাথা চারা চিয়ে উঠেছে তাকেই টার্গেট করা হয়েছে! সালমান শাহ, মান্না ভাই, শাকিব ভাই, জায়েদ খান, শেষে এলো এই জয় চৌধুরী!
শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই জয়কে লক্ষ্য করা হয়েছে বলে মনে করেন নীড়। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য সালমান শাহ আজ মরে গিয়েও প্রতিটা মানুষের অন্তরে আছে! মান্না ভাইও একই! শাকিব খান আজ আমাদের সব থেকে বড় সুপারস্টার! জায়েদ খানকে সবাই চেনেন! জয়ের কী হবে জানি না! তবে একটা কথা বলতে পারি জয় জীবন দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে এবং এখানকার মানুষদের ভালোবাসে। সর্বোপরি বলতে চাই এই শিল্পী সমিতির নির্বাচনই কী কাল হলো? চোখে পড়ে গেলো? চারদিকে এত প্রশংসা এটাই কী কাল হলো?
আমি নিজে বলতে শুনেছি অন্য শিল্পীরা বলছে আজ জয় না থাকলে আমরা জিততে পারতাম না! অন্য শিল্পীরা বলছে এমন একজন জয় থাকলে আমাদের হয়ে যেত! পরিবারকে সময় না দিয়ে দিনের পর দিন শিল্পী সমিতিকে সময় দিয়েছে! আমার মনে পড়ে না একটা ইফতার সে পরিবারের সঙ্গে করেছে! ঈদের দিনটা পর্যন্ত সে পরিবারকে দিতে পারেনি। এগুলোই কী কাল হলো? সাংবাদিক ভাইদের একটা কথায় বলব সঠিক তদন্ত করে সঠিক সিদ্ধান্তটাই আপনারা নিবেন এটা বিশ্বাস রাখি।
নীড় বলেন, আবেগ বা প্ররোচণায় পড়ে সিদ্ধান্ত সবার জন্যই ক্ষতির কারণ কারণ শিল্পী আর সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক একে অপরের ভাই । তাই ভাই ভাইয়ের সাথে নমনীয় হবে এটাই স্বাভাবিক। সবশেষে আমরা একটা পরিবার।
মন্তব্য করুন