দেশের প্রথম নারী প্রশিক্ষক বৈমানিক ফারিয়া লারাকে উপজীব্য করে সিনেমা বানাতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। এ জন্য গত জুনে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছেন তিনি। ‘লারা’ নামে এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করবেন শেখর দাশ।
জ্যোতিকা জ্যোতি জানিয়েছেন, সরকারি অনুদানের হলেও সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। তিনি বলেন, ২০২০ সাল থেকেই ছবিটি নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বড় আয়োজনের চলচ্চিত্র হবে এটি। সিনেমাটি নির্মাণ করতে ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছি। তবে এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক তিন কোটি টাকা।
জ্যোতিকা জ্যোতি আরও বলেন, সরকারি অনুদানের সিনেমা হলেও ‘লারা’ নির্মাণ কোনোভাবেই গতানুগতিক হবে না। ছবিটিকে বাণিজ্যিক রূপ দিতে সব ধরনের আয়োজন করা হবে। এ উদ্দেশ্যে অনুদানের বাইরেও বড় বাজেট প্রয়োজন। এতে দর্শকদের রুচি ও চাওয়াকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। একটি আধুনিক ছবি হবে ‘লারা’। তাই এই সিনেমায় আরও লগ্নিকারীকে যুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, মাত্র ২৮ বছর পৃথিবীতে ছিলেন বৈমানিক ফারিয়া লারা। ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ সালে তিনি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রাইভেট পাইলটের লাইসেন্স লাভ করেন। ১৯৯৮ সালের ১৯ মার্চ বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স পান তিনি। এরপরই পাইলটদের প্রশিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন লারা।
১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর উড্ডয়নকালে নিহত হন ফারিয়া লারা। আগুন লেগে এয়ার পারাবতের বিমানটি ঢাকার পোস্তগোলায় বিধ্বস্ত হয়। এতে লারাসহ নিহত হন দুজন। ১৫ মিনিট আগে ইমার্জেন্সি কল দিয়ে কন্ট্রোলকে তিনি বলেন, ‘আমি আর কয়েক মিনিট বেঁচে আছি এই পৃথিবীতে’।
ফারিয়া লারার মা কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং বাবা মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন। মেয়েকে নিয়ে ২০০৬ সালে ‘লারা’ নামের একটি উপন্যাস লিখেছেন সেলিনা। ‘লারা’ সিনেমা নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে সেলিনা হোসেনের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়েছেন জ্যোতিকা জ্যোতি।
মন্তব্য করুন