‘নায়ক’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় চিত্রনায়িকা অধরা খানের। দেশ-বিদেশে ভ্রমণ নিয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন এই সেনসেশনাল নায়িকা। বছরজুড়েই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে দেখা যায় তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন খোলামেলা ছবি।
ব্যক্তিগত ফটোশুটের জন্য ভারত ও মালদ্বীপে উড়ে গিয়েছেন তিনি। ভারতীয় ফটোগ্রাফার সেন্ডি—অধরার সব আবেদনময়ী ছবি তুলেছেন। যিনি কিনা কলকাতার দেব, কোয়েল মল্লিক ও শুভশ্রীদের ফটোশুট করে থাকেন।
নানা সময়ে অধরার অর্থের উৎস নিয়েও হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছেন মাতালে-এর নায়িকা। ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রেমিককে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চুম্বনরত ছবি পোস্ট করেন অধরা।
ওইদিন ছিল তার বাগদত্তা ফয়সাল খানের জন্মদিন। অধরার প্রেমিক কাম বাগদত্তার পরিচয় অনুসন্ধানে কালবেলার কাছে এসেছে বেশকিছু তথ্য। কানাডার টরেন্টোতে বসবাস করেন ফয়সাল। পেশায় তিনি নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার। নেটওয়ার্কিংয়ের ওপরে বইও লিখেছেন। যেটি মানুষ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য কিনে থাকেন। এ ছাড়া শিক্ষকতা পেশার সঙ্গেও জড়িত তিনি।
প্রবাসী ফয়সালের কানাডায় বাড়ি-গাড়ি সবই রয়েছে। সেখানে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন তিনি। বিশ্বব্যাপী আইটি বিষয়ে হাই প্রোফাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেন ফয়সাল। কালবেলার কাছে তথ্য রয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশি ফয়সাল আমেরিকান আর্মিদেরও নেটওয়ার্কিংয়ের ওপরে ট্রেনিং করিয়েছেন। এছাড়া আরও অন্যান্য ব্যবসা রয়েছে তার। সব মিলে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক ফয়সাল।
এদিকে অধরার দাবি, ২০১৩ সালে ফয়সালের সঙ্গে বাগদান হয়েছে তার। দুজনের ছবি আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে। তবে এতদিন ফয়সাল ইস্যুতে সব সময়ই এড়িয়ে গেছেন তিনি।
নায়িকাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোটিপতি প্রেমিকের টাকায়ই কি দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ান? জবাবে কালবেলাকে জানালেন, তার পরিবার থেকেই বিদেশ ভ্রমণের অর্থ দেওয়া হয়ে থাকে। আর বিদেশে ঘোরাঘুরি সিনেমায় নাম লেখানোর আগে থেকেই করেন তিনি।
তবে সূত্রের খবর, আমেরিকা, দুবাই, মেক্সিকো, কাতার, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড প্রতিটি দেশেই নায়িকার সফর সঙ্গী ছিলেন এই ফয়সাল খান।
অধরা খান অভিনীত নায়ক, মাতাল, পাগলের মতো ভালোবাসি, সুলতানপুর ছবিগুলো মুক্তি পেয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সময়ের সম্ভাবনাময়ী এই নায়িকা বিয়ে করে মিডিয়া ছেড়ে দেবেন কিনা। এমনও শোনা যাচ্ছে, হবু স্ত্রীর সিনেমায় নিজেই অর্থ লগ্নি করবেন ফয়সাল। ভবিষ্যতে এই নায়িকা অধরা কোন পথে হাঁটেন তা সময়ই বলে দেবে।
মন্তব্য করুন