অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশের প্রশংসার ঝাঁপি খুলে বসেছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। শনিবার পলাশের জন্মদিনে ফেসবুকে নাতিদীর্ঘ এক পোস্ট করেছেন অমি। সেখানে অভিনেতার প্রতি নির্মাতার আবেগ প্রকাশ পেয়েছে। পলাশের বর্তমান খ্যাতি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিষয়ে লিখেছেন অমি।
পলাশকে ‘কাবিলা’ নামে ডেকেই শুভেচ্ছো জানিয়েছেন নির্মাতা। অমি পরিচালিত ব্যাচেলার পয়েন্ট সিরিয়ালে কাবিলা নামে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন পলাশ। এই অভিনেতার গুণ বর্ণনা করতে একটি বই লিখে ফেলতে পারবেন অমি। যদি সেই বই নাও লেখা হয়, তবুও কোনো একদিন পলাশের গল্প সবাইকে শোনাবেন নির্মাতা। এভাবেই পলাশের প্রতি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন অমি।
অভিনেতা পলাশের কৃতজ্ঞতা বোধ এতই বেশি যে শুধু এই গুণটির কাছে তার অন্য দোষগুলো চাপা পড়ে যায়। নির্মাতা অমি তার অন্য সহকারী পরিচালকদের সামনে পলাশকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন। পলাশের বর্তমান খ্যাতি ও অবস্থানের বিষয়ে অমি তার পোস্টে বলেন, যারা ভাবছেন পলাশ অনেক বড় হয়ে গেছে, সে হয়তো অনেক কিছু করে ফেলেছে, তাদের ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। সামনে পলাশের সুসময় অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্মাতা।
পলাশ তার ক্যারিয়ারে কতদূর উঠবেন সেটা অমিও আঁচ করতে পারছেন না। নির্মাতা মনে করেন, পলাশের পথচলা কেবল শুরু। পোস্টে অমি ধারণা করেছেন তিনি মারা গেলে পলাশ তাকে মনে করবেন। তার কাজগুলো স্মরণে রাখবেন এই অভিনেতা। পরিশেষে অভিনেতার জন্য দোয়া করে নির্মাতা জানান, পলাশ তার অহংকার।
১৯৯৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর কালিকাপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া পলাশের শৈশব কেটেছে নিজ জেলায়। এরপর বেড়ে উঠেছেন ঢাকার নাখালপাড়ায়। স্কুলে পড়ার সময় পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন জাগে পলাশের। এইচএসসির পর নির্মাতা মোস্তাফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা হয় তার। বাসনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে জুড়ে যান ফারুকীর সঙ্গে। দীর্ঘদিন তার সঙ্গে কাজ করে পরে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন ইশতিয়াক আহমেদ রুমেলের সঙ্গে।
নিজেই যখন পরিচালক হিসেবে নাম লেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখনই তার সঙ্গে পরিচয় হয় কাজল আরেফিন অমির সঙ্গে। অমি তার ‘ট্যাটু’ নাটকে তাকে অভিনেতা বানিয়ে দেন। সেখান থেকেই মূলত পলাশকে চিনতে শুরু করে দর্শক। এর সূত্র ধরেই মূলত অভিনেতা পলাশের আজকের অবস্থান।
মন্তব্য করুন