ভালো যাচ্ছে না ঢাকাই সিনেমার হাস্যোজ্জ্বল নায়িকা পরীমণির দিনকাল। একমাত্র সন্তান পুণ্যের অসুস্থতায় মলিন হয়ে আছে পরীর মুখ। এখন কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি আছে পরীপুত্র। ছেলের দেখভাল করছেন চিত্রনায়িকা একাই।
ভিনদেশের এত বড় শহরে সন্তানের সুস্থতার জন্য একাই লড়াই করছেন পরীমণি। অন্যদিকে পুণ্যের বাবা অভিনেতা শরিফুল রাজ শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। সন্তান যখন অসুস্থ, তখন ইধিকা পালেন সঙ্গে কবি সিনেমার শুটিংয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাকে। তাও আবার পশ্চিমবঙ্গেই। ফলে ভক্তদের মনে প্রশ্ন জমেছে—রাজ কি ছেলেকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন? না কি পরীর সঙ্গে পুরোনো দেন-দরবার মনে রেখে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন নিষ্পাপ সন্তানের দিক থেকেও।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, এখনো একরত্তিও সেরে ওঠেনি রাজ-পরীর সন্তান পুণ্য। শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। পুণ্যের শরীরে বাসা বেঁধেছে দুটি ভাইরাস। কলকাতার হাসপাতালে প্রায় ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও ছেলেকে এখনো দেখতে যাননি শরিফুল রাজ। ফলে পুরো ধকল যাচ্ছে পরীর ওপর দিয়েই। ছেলের চিকিৎসা করাতে কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন একটি পাঁচতারকা হোটেলে উঠেছেন চিত্রনায়িকা। সেখান থেকে হাসপাতাল কাছেই। ছেলের সঙ্গে সারাদিন হাসপাতালেই কাটাচ্ছেন পরী। নিজের নাওয়া-খাওয়ার প্রতিও খেয়াল নেই তার।
পরীমণির ছেলের অসুখটা ঠিক কী, তা জানা যাচ্ছে না। কল করলে কিংবা মেসেজ দিলেও উত্তর মিলছে না নায়িকার কাছ থেকে। তবে বিষয়টা যে বেশ গুরুতর তা নানা সময়ে দেওয়া পরীমণির ফেসবুক পোস্ট দেখে অনুমেয়।
অসুস্থ ছিলেন পরীমণিও। ঘটনার সূত্রপাত জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে। বরিশাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে রাস্তা থেকে কেনা ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন নায়িকা ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। তা খেয়েই অসুখ বাঁধে পুণ্যের। এ ঘটনায় ফুড পয়জনিংয়ের কারণে পরীসহ হাসপাতালে ভর্তি হন তারা পাঁচজন। পরে সবাই মোটামুটি সুস্থ হলেও পুণ্যের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। এরপর সন্তানের চিকিৎসার জন্য কলকাতা চলে যান পরী।
কলকাতায় পুণ্যের চিকিৎসার বিষয়টি ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে নিশ্চিত করেছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। জানিয়েছিলেন, দেশের হাসপাতালে টানা সাত দিন কাটানোর পর ছেলের চিকিৎসার জন্য কলকাতা যাচ্ছেন পরীমণি। পুণ্য খুব অসুস্থ। তার শরীরে দুটি ভাইরাস ধরা পড়েছে।
ছেলেকে কলকাতা নেওয়ার সময় পরীও পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন না। তবে কিছুই করার ছিল না তার। অসুস্থ শরীর নিয়েই যেতে হয়েছে দূর দেশে। চয়নিকা তার পোস্টে পরীমণির হয়ে পুণ্যরে জন্য দোয়াও চেয়েছেন।
মন্তব্য করুন