সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে নতুন দুটি সিনেমার ঘোষণা দেন ঢালিউড নায়িকা শাবনূর। ছবি দুটি হলো ‘রঙ্গনা’ ও ‘মাতাল হাওয়া’। ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে রঙ্গনায় শাবনূরের ফার্স্ট লুক। পোস্টারটি প্রকাশের পর নেটিজেনদের কাছ থেকে যেমন পজিটিভ মন্তব্য এসেছে, তেমনি মিলেছে নেগেটিভ কমেন্ট। ভক্তদের একটি অংশ চান না যে শাবনূর এ সিনেমায় অভিনয় করুক।
অন্যদিকে ‘মাতাল হাওয়া’ সিনেমার রিহার্সালে অংশগ্রহণ করেছেন এ অভিনেত্রী। চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় মাতাল হাওয়া ছবিতে শাবনূরের বিপরীতে দেখা যাবে মাহফুজ আহমেদকে। এ ছাড়া শাবনূরকে নিয়ে অনেক আগেই ‘দুই নয়নের আলো’ সিনেমার সিক্যুয়াল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন ছবিটির নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। এমনকি শাবনূরের বায়োপিকও বানাতে চান তিনি। ২০০৫ সালে মানিকের ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন শাবনূর।
চিত্রনায়িকা শাবনূরের অভিনয়ে ফেরা এবং ‘রঙ্গনা’ সিনেমায় অভিনয় করার বিষয়ে নায়িকার প্রতি কিছু আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। তবে পরিচালক হিসেবে নয়, শাবনূরভক্ত হিসেবে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্য শাবনূর ভক্তদের মতো নির্মাতা মানিকও চান ‘মানহীন’ চলচ্চিত্রে শাবনূর যেন অভিনয় না করেন।
নির্মাতা মানিকের ভাষ্য, প্রয়োজনে তার ‘দুই নয়নের আলো ২’ ছবিটি বাদ দিয়ে হলেও শাবনূর যেন চলচ্চিত্র নির্বাচনে সতর্ক হন। তার অভিমত হলো, দীর্ঘদিন পর শাবনূর অভিনয়ে নিয়মিত হতে যাচ্ছেন, এখন ভুল করলে ভক্তরা নায়িকার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। শাবনূরের উদ্দেশ্যে মানিক লিখেছেন, এটা ১৯২৪ সাল না, ২০২৪ সাল। এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন নির্মাতা।
মানিক লিখেছেন, ‘গত কয়েকদিনে একটি পোস্টারকে কেন্দ্র করে, সবার প্রিয় অভিনেত্রী শাবনূরকে যেভাবে ট্রল করা হয়েছে, তা মনে হয় শাবনূর-এর এত বছরের অভিনয় জীবনে কোনোদিন করা হয়নি। একজন শাবনূর ভক্ত হিসেবে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। খোদ শাবনূর ভক্তরা একে বয়কটের ডাক দিয়েছে। যাই হোক এই ট্রলের যুগে, শাবনূর-এর যদি আবার মুভি করতেই হয়, অত্যন্ত বুঝেশুনে করা উচিত’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান সময়ের অনেক মেধাবী এবং জনপ্রিয় পরিচালক তার সাথে কাজ করতে আগ্রহী। চয়নিকা চৌধুরী, রায়হান রাফি, নিয়ামূল মুক্তা, বুলবুল বিশ্বাস ইতোমধ্যে তার সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আমাকে নিজে বলেছেন তাকে নিয়ে কাজ করার কথা। আমার মনে হয় নিজেকে আরও ফিট করে আরও সময় নিয়ে এই সব পরিচালকদের সাথে রাজকীয়ভাবে তার ফেরা উচিত’।
মানিক লিখেছেন, ‘চয়নিকা দিদির মাতাল হাওয়া নিয়ে যে কথা হচ্ছে সেটা হতে পারে শাবনূর-এর প্রপার কামব্যাক। এটার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। মোট কথা এক্সপেরিমেন্ট-এর কোনো সুযোগ নেই এই সময়ে। মনে রাখতে হবে এটা ১৯২৪ না, এটা ২০২৪। বিখ্যাত সব পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনিকার, ডিওপি, এমনকি অসংখ্য স্পট বয়ের প্রচেষ্টার সাথে শক্তিশালী অভিনয় দক্ষতার মিশেলে গড়ে উঠেছে শাবনূর-এর আজকের সার্বজনীন ইমেজ। কিছু লোকের অদক্ষতা, ভাইরাল হবার প্রচেষ্টা আর শাবনূর-এর নিজের খামখেয়ালির জন্য, এই ইমেজ, এই জনপ্রিয়তা, এই প্রতিমা ধ্বংস হোক, আমিসহ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগণিত শাবনূর ভক্ত তা কোনোদিন চায় না’।
শেষে নির্মাতা লিখেছেন, ‘প্রয়োজনে আমার মুভিও রিজেক্ট করুন, তবু কাউকে নিজের ইমেজ শেষ করার সুযোগ দেবেন না প্লিজ। মূর্খ অদক্ষ কোনো মেকআপম্যান যদি আপনার উপদেষ্টা হয় তাহলে বলার কিছু নাই। আপনি এদের ব্যক্তিগতভাবে ভালোবাসুন কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু নিজের ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে এদের বর্জন করুন, দরকারে আমাকেও বর্জন করুন। আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে এই কথাগুলো বলতে না পেরে এই পোস্ট দিলাম। আশা করি ভুল বুঝবেন না’।
মন্তব্য করুন