সবার জীবনে একটা প্রথম প্রেম থাকে যা আমার জীবনেও ছিল বলে জানান ব্যাচেলর পয়েন্ট খ্যাত অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ। তবে বর্তমানে তিনি কাবিলা নামে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। যদিও তার নিজস্ব নামে খুব কম মানুষই চেনেন। এ অভিনেতা কালবেলাকে এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা জানিয়েছেন। যেখানে ওঠে এসেছে পরিবার থেকে শুরু করে নিজের জীবনের আদ্যপ্রান্ত।
বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের এ অভিনেতা নিজের জীবনের প্রথম প্রেম এখনো তাকে পীড়া দেয় বলে জানান। তবে যে কারণে নিজের প্রথম প্রেমকে হারিয়েছেন তার থেকে বেশি কিছু পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
জীবনের প্রথম প্রেম দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ার কারণও জানন অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ। একই ক্লাশে পড়ায় পরীক্ষা ফেল করার কারণে সে এক ক্লাস উপরে উঠে যায়। তিনি বলেন, এরপর বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে যা হয় তাই হয়েছে। কারণ যার সাথে প্রেম সে দেখল এ ছেলে ডিরেক্টর হতে চায়, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই, তখন মেয়ে আর তার পরিবার হয়তো ইনসিকিউরিটি ফিল করেছে। পরে আস্তে আস্তে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। জীবনের প্রথম প্রেমের স্মৃতি অনেক বছর কষ্ট পেয়েছি। এ কষ্ট ভাবতে গেলেও কষ্ট লাগে।
তিনি বলেন, আপনি ব্যর্থ হতেই পারেন, সেটাকে পজেটিভলি নিয়ে জেদটাকে কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে সেটি আপনার জীবনের সুফল বয়ে আনবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যা হওয়ার জন্য জীবনে এতকিছু হারাতে হয়েছে আমি তাই হবো। আমিও তার জন্য (সফল হতে) দিন রাত ২৪ ঘণ্টা সব এক করে চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবার খুব ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ার হই। কারণ বাবাও ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। কিন্তু আমি যখন সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করা শুরু করি তখন স্বাভাভিকভাবে বাবা-মাও চিন্তায় পড়তে হয়। কারণ তাদের একটাই ছেলে আমি। আমার একটা বোনও আছে, সে জন্য বাবার মনেও টেনশন ছিল। সবকিছু মাথায় রেখে কাজটাকে ডেডিকেটেডলি করতে হবে। আমি যখন কাজ শুরু করি, দিন রাত এক করে কাজ করেছি। পুরো অনার্স লাইফে ভার্সিটির পাশাপাশি সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছি। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে এখান থেকে পেছেনে ফিরে যাওয়ার পথ নেই। কাজটা যেহেতু শুরু করেছি ভালোভাবে শেষ করতে হবে।
পলাশ বলেন, প্রতিটি মানুষের সফল হওয়ার পেছনে একটা স্ট্রাগল থাকে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, রিকশাচালক সবারই থাকে। যা আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। জানি না কতটুকু হতে পেরেছি তবে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
পরিচালক থেকে অভিনেতা হয়ে ওঠার গল্প জানাতে গিয়ে বলেন, অভিনেতা হয়ে ওঠা আমার হাতে ছিল না। হঠাৎ করে হয়েছে। মানুষ আমার চরিত্রকে ভালোবেসেছে, মানুষ এটা নিয়ে কথা বলে আনন্দিত হয়ছে। আবার আবেগের কোনো দৃশ্য দেখলে কেঁদে উঠেছে। এটাই আমার কাছে ভালো লাগে।
আগামী দিনের দর্শকদের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সামনে যখন আরও কাজ করব তখন আরও ভালোভাবে কাজ করার চেষ্টা করব। কারণ এ চেষ্টা প্রতিনিয়তই থাকতে হবে। তবে জীবনে যে যাই কিছু করুক না কেন বাবা-মায়ের দোয়া নিতে হবে। তাদের দোয়া যতদিন পর্যন্ত থাকবে ততদিন পর্যন্ত দুনিয়ার কেউ আটকে রাখতে পারবেন না।
মন্তব্য করুন