ভুলভাবে ভাইরাল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। তার মতে, রুচিশীল ও ট্যালেন্টেড মানুষগুলোই থেকে যাবে। জোয়ারে অনেক ভাইরাল লোক আসবে, আবার চলেও যাবে। সম্প্রতি কালবেলায় এ কথা বলেন তিনি।
কালবেলার সাপ্তাহিক বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান তারাবেলায় অতিথি হয়ে এসেছিলেন সোহানা সাবা। অনুষ্ঠানে ভাইরাল লোকেদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মতো আরও অনেকেই আছে যারা ট্যালেন্টকে নার্চার করে একটা জায়গায় এসেছেন। তাদের সোশ্যাল মিডিয়াতেও পপুলার দেখা যায়। এর মানে উভয় দিকে আমাদের সুবিধা রয়েছে। যদি আর্নিংয়ের কথা বলি, আমরা ওদের (সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ব্যক্তি) থেকে একটু বেশি উপার্জন করি।
তিনি আরও বলেন, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ যদি ফেমাস হন, এর মানে কিন্তু এই নয়, তার অন্য কোনো ট্যালেন্ট নেই, কিংবা তার কোনো ট্যালেন্ট নেই, এমনিতেই ফেমাস হয়ে গেছেন। অবশ্য যারা ভুলভাবে ভাইরাল হচ্ছেন, তাদের আমি এই তালিকায় রাখছি। যারা ভুলভাবে ভাইরাল হচ্ছে তাদের নিয়ে মানুষ সাময়িক ফান করছে। তাদের সঙ্গে ছবি তুলছে, একটা হাইলি পেমেন্ট দিয়ে সব জায়গায় নেওয়া হচ্ছে তাদের। কিন্তু সেটা আর কতদিন? তারপর কিন্তু একটা সময় তারা নাই হয়ে যাচ্ছে। এটা এ রকমই। জোয়ারে আসবে অনেক কিছু, কিন্তু সেগুলো আবার চলেও যাবে। সেগুলো নিয়ে এত ভাবনার কিছু নেই। রুচিশীল ও ট্যালেন্টেড মানুষগুলো থেকে যাবে।
সোহানা বলেন, যারা অনেক ট্যালেন্টেড, তারাও অনেক সময় নিজেকে ভাইরাল করার জন্য ভুলভাল জিনিস করে বা নেগেটিভ পাবলিসিটির একটা স্টান্ট তৈরি করে। কিন্তু সেটাও ম্যাটার করে না। দিনশেষে কাজটাই থেকে যায়।
অনুষ্ঠানে আলাপ হয় তার ফিটনেসের বিষয়েও। উপস্থাপক তার এই ‘এভারগ্রিন‘ লুকের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহানা বলেন, এভারগ্রিন শব্দটা শুনলে মনে হয়—আমি বোধহয় অনেক বয়সী একজন। ব্যাপারটা সেটা নয়। ব্যাপারটা হচ্ছে আমি অলওয়েজ বিশ্বাস করি পজিটিভিটি মানুষকে ভেতর থেকে সুন্দর রাখে। এই পজিটিভিটি হতে পারে নিজের ব্যাপারে এবং অন্যের ব্যাপারে। অন্যের বিষয়ে পজিটিভ হওয়ার আগে নিজের ভেতরটা পজিটিভ হওয়া জরুরি। সেটা আমার মধ্যে বরাবরই আছে। আমি আমার ব্যাপারে খুবই শিওর। আমি জানি জীবনে কী পেয়েছি, কী চেয়েছিলাম। উপরওয়ালা আমাকে বুঝেশুনে দিয়েছেন। আমার লাইফে যদি খুব খারাপ কিছু আসে, তখন আমার মনে হয়—নিশ্চয়ই আমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে, তাই এখন এটা হচ্ছে। মানে দিনের আগে যেমন রাত আসে।
তিনি আরও বলেন, আমার ভেতর পজিটিভিটি আনা তো রাতারাতি সম্ভব হয়নি। এটার জন্য একজন আর্টিস্ট অথবা ক্রিয়েটিভ মানুষের যে মানসিক স্ট্রাগল, সে স্ট্রাগলটার মধ্য দিয়ে কিন্তু আমাকে যেতে হয়েছে। আমরা যারা আর্টিস্ট বা ক্রিয়েটিভ মানুষ, তারা কিন্তু একটু অগোছালো। কারণ নরমাল মানুষের পক্ষে নতুন কিছু ক্রিয়েট করা পসিবল না। এটা হচ্ছে রিয়েলিটি, আমাদের সাইকোলজিকাল সিস্টেমটাতেই আমরা একটু অগোছালো। কিন্তু আমি আবার ভীষণ গোছালো। আমার ওসিডি আছে। আমার সব পারফেক্ট থাকা লাগবে। আমার সংসার, আমার ঘর, সব পারফেক্ট থাকা লাগবে, সুন্দরভাবে সাজানো জীবন থাকা লাগবে। তাই এই দুটি পারসন অথবা পার্সোনালিটি, দুজন দুজনের সঙ্গে ফাইট করে একসঙ্গে চলে। এটা ব্যালেন্স করে চলার জন্য একটা সাধনার ব্যাপার আছে। আমি প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে মেডিটেশন করি।
মন্তব্য করুন