বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এফডিসিতে চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে বিশেষ সংবর্ধনা

সংবর্ধনায় ফেরদৌস আহমেদ। ছবি : কালবেলা
সংবর্ধনায় ফেরদৌস আহমেদ। ছবি : কালবেলা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে নৌকার মাঝি হয়ে লড়বেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। এ উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশর চলচ্চিত্রশিল্পী ও শিল্পী সমাজের পক্ষে থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় নিজের অনুভূতি জানিয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘আমাকে এই সম্মান জানানোর জন্য সত্যিই আমি আনন্দিত। আমার বন্ধু ও সহকর্মীদের পাশে পেয়ে অভিভূত। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে আমি ঢাকা-১০ আসনের মনোনয়ন পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে আমি আমার পাশে চাই, সামনে চাই। আমি চাই আপনারা আমাকে যেভাবে পথ দেখিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, আগামীতেও ঠিক সেভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফেরদৌস বলেন, আপনাদের প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদকে, ২ লাখ মা-বোনকে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজকের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ঐকান্তিক ইচ্ছা শক্তির জন্য, আজ আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ঢাকা-১০ আসনের দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এটি ঢাকার অন্যতম ঐতিহাসিক একটি আসন। এটি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে শুধু আমাকেই সম্মানিত করেছেন তা নয়, আমাদের পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গন ও চলচ্চিত্র পরিবার আজ সম্মানিত। আপনারা দেখেছেন পুরো চলচ্চিত্র পরিবার আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমার পথচলার নতুন সাথীরা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাকে ভালোবেসে বরণ করে নিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে আমি সফলতার দিকে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা মিডিয়ার বন্ধুরা আমার পাশে সব সময় ছিলেন। গত ২৫-২৬ বছর ধরে আপনারা আমার পাশে ছিলেন, আছেন। আপনারা থাকবেন—এই বিশ্বাস আমার আছে। তাই আপনাদের সবসময়ই পাশে চাই।

আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে চিত্রনায়ক বলেন, আমাদের এই নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সারা বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই, সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়া যে, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কত সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হতে পারে। আমি ৭ তারিখে যদি ইনশাআল্লাহ আপনাদের সবার সহযোগিতায় জয়ী হই, আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, ১৮ তারিখের আগে আমি যদি কারও কাছে গিয়ে ভোট চাই সেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। এতদিন ধরে আমি যেটা করেছি—আমার সব ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে বসে, থানা থেকে শুরু করে ইউনিট মেম্বার যত সংগঠন আছে, আওয়ামী লীগের যত অঙ্গসংগঠন আছে, সব সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর সঙ্গে আমি আলাদা-আলাদা করে বসেছি; আমরা উঠান বৈঠক করেছি, কর্মী সমাবেশ করেছি, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, যিনি তিন-তিনবারের এমপি, তিনি আমাকে ভীষণভাবে সহযোগিতা করছেন। কারণ তার পুরো এলাকাটা চেনাজানা। তার কাছে পুরো এলাকার পরিকল্পনা রয়েছে, তিনি যে উন্নয়নগুলো করেছেন এবং কি কি প্ল্যানিং ছিল তার, সেগুলো তিনি আমাকে জানিয়েছেন। তার একটা বিরাট সহযোগিতা পাচ্ছি বলেই আমার কাছে কাজটা সহজ হয়েছে। নেতাকর্মীরা আমাকে অনেক সুন্দরভাবে মেনে নিয়েছেন, সে কারণে ধীরে ধীরে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। তাদের সবার সহযোগিতায় ইনশাল্লাহ আমি ভালো কিছু করতে পারব।

চিত্রনায়ক বলেন, আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। কারণ আমাদের মধ্যে যেটা হয়ে গেছে যে ভোটের দিনটিকে মানুষ ছুটির দিন মনে করে। ভাবে যে আমি ভোট না দিলে কী হবে। এ রকম একটা মেন্টালিটি আমাদের অনেকের মধ্যে আমি দেখতে পাচ্ছি। তাদের আনার জন্য আমি নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করব। এ ব্যাপারে আমাদের যে শিল্পী এবং আওয়ামী লীগের যে কর্মীরা আছেন, তাদের আমি বলেছি যে, প্রত্যেকটা বাড়িতে যাব, প্রত্যেকটা মানুষের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা বলব। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কথা বলব। বিশেষ করে যারা নতুন ভোটার তাদের আমি এটা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছি যে—তোমার ভোটটা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ভোটের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচনে তোমার ভোটটা যেন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির প্রতি হয়। এ ধরনের নানা কার্যকলাপ আমরা শুরু করেছি। ১৮ তারিখ থেকে আমাদের নির্বাচনের প্রচার পুরোপুরি শুরু হবে। তখন আরও নতুন নতুন আইডিয়াগুলো দেখতে পাবেন।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে তারকাদের পদচারণয় মুখরিত ছিল এফডিসি। বিজয় উৎসবের আমেজ লেগেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে। বিজয় দিবসের সকাল থেকেই সেখানে চলেছে বিজয় উৎসব। শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে সকাল ১১টার দিকে স্বাধীনতার বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে নায়ক ফেরদৌসকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের পাশাপাশি বহিরাগত লোকজনের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্দোলনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি, সেই যুবলীগ নেতা মুছা গ্রেপ্তার

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে যমুনা গ্রুপ

জনবল নেবে স্যামসাং বয়সসীমা  ২১ থেকে ২৮ বছর 

বায়ুদূষণে শীর্ষে হ্যানয়, ঢাকার খবর কী

সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি, কী বলছেন চিকিৎসক

লিটনের শরীরে ৫ শতাধিক বুলেট

সপ্তম রাউন্ডে জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের লড়াই

পাচারের টাকায় আমিরাতে মিনি সিটি নিয়ে আসিফের স্ট্যাটাস

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় লাখো মানুষ পানিবন্দি, মৃত্যু ৫

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস গবেষকের

১০

সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ জ্যোতির

১১

১৩ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১২

ভারতীয় দলে আচমকা পরিবর্তন

১৩

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৪

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৫

৬ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

১৬

কুমির ভেবে ঘড়িয়াল বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা

১৭

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১৮

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

১৯

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

২০
X