সতের বছর বয়সে প্রথম গাড়ি কিনোছলাম, দেশে শপিং করা হয় না, আমার অর্ধশতাধিক শাড়ি ও একশর ওপর ওয়েস্টার্ন ড্রেস রয়েছে, ব্যান্ডেড জুতা পরি আমি—কালবেলায় নিজের বিষয়ে এসব জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া।
কালবেলার সাপ্তাহিক বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ‘তারাবেলা’র দ্বিতীয় পর্বে অতিথি হয়ে উপস্থাপকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। এ সময় তার পোশাক, পারফিউম ও গাড়ির বিষয়টিও উঠে আসে।
নিজের পোশাকের বিষয়ে নুসরাত ফারিয়া বলেন, কমফোর্ট ও ব্যান্ড—দুটিকেই প্রাধান্য দিই। কালারটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার জন্য। আমার নিজস্ব কিছু রং আছে, যেগুলোর বাইরে আমি পোশাক পরি না। আমি সাধারণত সাদা পরি। সেটা স্টেজ পারফরম্যান্সে হোক, বড় কোনো ইভেন্টে হোক কিংবা গেট টুগেদারে। আমি মনে করি সাদা আমার ব্যক্তিত্ব নিয়ে অনেক কিছু প্রকাশ করে। অন্য রঙের ক্ষেত্রে আমি পিঙ্ক ও ইয়োলো পছন্দ করি। কালো খুব কম পরা হয়। যে কোনো ব্যান্ডেড পোশাকেই কমফোর্ট খুঁজি আমি। এরকম নয়; আমি অনেক ব্র্যান্ডের কাপড় কিনি। নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের কাপড় পরা হয়। ব্যান্ডেড জুতা পরি।
তিনি আরও বলেন, জুতার ক্ষেত্রে আমি এই কমফোর্টকে খুব প্রাধান্য দিই। আমি যেহেতু অনেক ট্র্যাভেল করি, তাই কমফোর্টেবল জুতা খুব ইম্পর্টেন্ট। আমি হিলস পরতে খুব পছন্দ করি। ব্যাগ ও জুতা মেয়েদের ব্যক্তিত্বের অনেক কিছু ফুটিয়ে তোলে। সাধারণত আমার জুতা ও ব্যাগ সাদা হয়ে থাকে। আমি জানি না কেন; কিন্তু সাদার ওপর আমার ফ্যাসিনেশন আছে। আমার ৫০ থেকে ৬০টি শাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া হান্ড্রেড প্লাস ওয়েস্টার্ন ড্রেস রয়েছে।
সুগন্ধি ব্যবহারের বিষয়ে নায়িকা বলেন, আমি পারফিউম রিপিট করি। নির্দিষ্ট কিছু পারফিউম আছে, আমি ঘুরেফিরে সেগুলোই ব্যবহার করি। আমার মনে হয় সুগন্ধি সেরকম হওয়া উচিত যেটা পার্সোনালিটিকে প্রকাশ করে। আমি পারফিউম পরিবর্তন করতে খুব একটা পছন্দ করি না। আমার যখন একটা জিনিস ভালো লাগে তখন আমি সেটায় স্ট্রিক্ট থাকি। আমি পরিবর্তন অতটা পছন্দ করি না।
শপিং কোথায় করা হয়, দেশে নাকি বিদেশে? জবাবে নুসরাত বলেন, বিদেশে শপিং করি। দেশে একদমই শপিং করা হয় না। আগে করা হতো, ছোটবেলায়। এখন এখন বাংলাদেশে বড় বড় ফ্যাশন হাউস রয়েছে। বড় ফ্যাশন ডিজাইনার রয়েছেন। তারা সবসময় আমাদের সুন্দর করে ড্রেসআপ করেন। মাঝে মাঝে ঈদের ড্রেসগুলো দেশ থেকে নিই। আমি একটা দোকানে যাই, আমি জানি আমি কী চাই, তারপর আমি দ্রুত ১০ মিনিটের মধ্যে সব কিনে নিয়ে আসি।
নিজের গাড়ির বিষয়ে বলেন, তখন আমি ছোট ছিলাম। আমি আমার প্রথম গাড়ি কিনেছিলাম যখন আমি ১৭ বছর বয়সী। তখন আমি উপস্থাপনা করতাম। আমি একটা জি করলা কিনেছিলাম। টাকার জমিয়ে। সেটা ছিল আমার প্রথম গাড়ি। সেদিন থেকে আমার ইচ্ছা ছিল আমি একটা অডি কিনব। সেটা ছিল ২০১৩ সালে। তার পরের পাঁচ বছর অনেক কষ্ট করেছি, অনেক স্ট্রাগল করেছি, অনেক কাজ করেছি। আমার অডি কিনার স্বপ্ন ছিল। তারপর আমি একটি অডি কিনেছি। সেটা কিছুদিন ব্যবহার করার পর মার্সিডিজ কিনেছি। এখন আমি আরও বড় কিছু কেনার জন্য অপেক্ষা করছি।
মন্তব্য করুন