চিত্রনায়িকা তমা মির্জা তখন ছোট। ক্লাস সিক্স কিংবা সেভেনে পড়েন। তখন একটি প্রেমের চিঠি আসে তার নামে। সেটি সরাসরি গিয়ে পড়ে তমার বাবার হাতে। তাই সেই চিঠিতে কী লেখা ছিল তা অজানাই থেকে গেল আজকের অভিনেত্রী তমা মির্জার কাছে। তবে ওই চিঠির উত্তর না পেয়ে প্রেমপ্রত্যাশী ছেলেটি আরেকটি চিঠি পাঠায়। সেটি অবশ্য তমার হাতেই এসে পড়ে। তালে লেখা ছিল একটি রবীন্দ্রসংগীত, ‘আমার পরাণ যাহা চায়’। কালবেলার বিনোদনের সাপ্তাহিক আয়োজন তারাবেলার তৃতীয় পর্বে এসে এসব কথা জানান তমা মির্জা।
অনুষ্ঠানে পর্দার বাইরে তার সঙ্গে নির্মাতা রায়হান রাফীর রসায়ন ও বিয়ের বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তমা বলেন, ‘পর্দার বাইরে রায়হান রাফির সঙ্গে আমার কেমিস্ট্রি ভালো। বিয়ে হয়নি এবং সামনেও বিয়ের সম্ভাবনা নেই’।
নির্মাতা রাফীর পরিচালনায় সুরঙ্গ সিনেমায় স্বার্থপর এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে তমা মির্জাকে। বাস্তব জীবনে তমা কি স্বার্থপর? উত্তরে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘না, বাস্তব জীবনে আমি স্বার্থপর নই। তবে কিছু কিছু জায়গায় স্বার্থপর। যেমন আমি আমার অভিনয়ের জায়গায় খুব বেশি স্বার্থপর। আমি ছাড় দিতে চাই না। একটা কাজ করার পর আমি যদি ফিল করি যে আমি এটা থেকেও ভালো করতে পারি, তখন যদি আমাকে পুরো টিমও বলে যে না আপু এটাই বেস্ট হয়েছে, আর দরকার নেই, আমি বলব—না আমি আবার দিতে চাই। এই জায়গাটায় আমি খুব স্বার্থপর।
শুটিং চলাকালীন পরিচালক রাফীর ধমকও শুনেছেন তমা মির্জা। বললেন, শুটিং সেটে রাফীর অনেক ধমক খাই। তমা জানান, শট পছন্দ না হলে রাফী ডেকে নিয়ে বলেন— কী করছ! একদম ওভার অ্যাকটিং! একদম ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের নায়িকাদের মতো! মেকআপও ওরকম, অভিনয়ও ওরকম! কিছু হচ্ছে না। কী করছ তুমি? এটা কী! এদিকে এসো, শোনো। এভাবে এভাবে করো যাও। এরপর আবার শট দেওয়ার পর রাফী পাশের জনকে ফিসফিসিয়ে বলেন—ভালো করেছে। পরে তমাকে বলেন— হ্যাঁ হয়েছে, ঠিক আছে।
ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাসের সঙ্গেও বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে তমা মির্জার। মাঝরাতে ফোনে কথা হয় তাদের। কতক্ষণ কথা হয়, ‘এমন প্রশ্নে তমা বলেন, ‘খুব বেশি নয়। কারণ তার জায়গা থেকে তিনি ব্যস্ত থাকেন। দেখা যায় আমারও অনেক সময় কাজের ব্যস্ততা থাকে। তাই অত কথা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে যখন প্রয়োজন হয়, তখন আমরা কথা বলে নিই। যে কোনো বিষয়ে’।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে পারফর্ম করেছেন তমা। নার্ভাস লেগেছিল কিনা, জানতে চাইলে তমা বলেন, ‘না, নার্ভাস লাগেনি। কারণ যেই মানুষটার সামনে পারফর্ম করেছি, তিনি যেভাবে দেখছিলেন ও তালি দিচ্ছিলেন, সেটা দেখে মনে হয়েছে সেখানে যত দর্শক ছিলেন, তিনি তাদের মধ্যেই অন্যতম একজন। তিনি খুব এনজয় করছেন এবং আমিও খুব আনন্দ নিয়ে নেচেছি’।
তারাবেলার অনুষ্ঠানে দেশের ভেতরে ও বাইরে তার পছন্দের ঘোরার জায়গার বিষয়েও বলেছেন তমা মির্জা। চিত্রনায়িকা জানিয়েছেন, দেশের ভেতর ঘোরার জন্য তার পছন্দের জায়গা নিজের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট, চট্টগ্রাম ও সিলেট। বিদেশ বলতে ভালো লাগে আমেরিকা, ভারতের কলকাতা ও মালয়েশিয়া ও মালদ্বীপে ঘুরতে।
মন্তব্য করুন