বেশকিছু সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকাই ছবির খলনায়ক মিশা সওদাগর। ‘ডেড বডি’, ‘কবি’, ‘পায়েল’, ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’, ‘ওয়াদা’, ‘আলী’—এসব সিনেমার শুটিং করছেন তিনি। শিগগিরই কাজ শুরু করবেন ‘কিল হিম টু’ চলচ্চিত্রে। তবে এসব ব্যস্ততার মধ্যেই আমেরিকায় নিজের পরিবারের কাছে যাবেন এই অভিনেতা। যদিও আমেরিকা তার খুব একটা পছন্দ নয়। কিন্তু স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে কাজের খাতিরে এখানে একা থাকতে বেশ মানসিক কষ্ট হয় তার। কালবেলার সাপ্তাহিক আয়োজন ‘তারাবেলা’র চতুর্থ পর্বে নিজের পরিবারের বিষয়ে এসব কথা বলেন মিশা সওদাগর।
পরিবার ছাড়া থাকতে কেমন লাগে? উপস্থাপকের এই প্রশ্নের উত্তরে মিশা বলেন, ‘খারাপ লাগে, প্রচুর খারাপ লাগে। আসলে পরিবার ছাড়া একেবারেই থাকতে পারি না। আমি মনে করি পরিবারই স্বর্গ। আমি একেবারেই পরিবারবান্ধব একজন মানুষ। আমার খুব কষ্ট লাগে। আমার আমেরিকা ভালো লাগে না’।
মজার ছলে তাকে প্রশ্ন করা হয় তার স্ত্রী মিতা তাকে সন্দেহ করে কিনা। জবাবে মিশা বলেন, ‘না, সন্দেহ আমাদের মধ্যে নেই। রোজ দুবার কথা হয় পরিবারের সঙ্গে। সকালে কাজে বেরোনোর সময়, আর কাজ থেকে ফিরে’।
তারাবেলার ওই পর্বে নিজের জীবনের একটি স্মৃতিও শেয়ার করেছেন এই খল অভিনেতা। বলেছেন, ‘একবার আউটডোরে তিনি ও এটিএম শামসুজ্জামান ভাই (প্রয়াত খল অভিনেতা) হাঁটছিলাম। জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলাম আমরা। তো স্থানীয়রা আমাকে দেখে বলছিলেন—মিশা গুন্ডা যাচ্ছে, মিশাকে দেখতে একদম মাওলানার মতো লাগছে। এই যে আমাকে মাওলানা বললেন তারা, এটা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি একদম সাদা টুপি, পাঞ্জাবি ও পায়জামা পড়েছিলাম। আমার ভালো লেগেছিল খুব’। এই ঘটনাটিকে তার অভিনয় জীবনে দর্শকদের থেকে পাওয়া শ্রেষ্ঠ মন্তব্য হিসেবে দেখেন মিশা।
নতুনদের মধ্যে যারা খল অভিনেতা হতে চান, তাদের পরামর্শ দিতে গিয়ে মিশা সওদাগর বলেন, ‘অভিনয়শিল্পী, নায়ক, ভিলেন, কমেডিয়ান—যেটাই হতে চায়, ফিল্ম যদি করতে চায় তাহলে তার মধ্যে স্পেশাল কিছু থাকতে হবে। এভারেজ কিছু থাকলে ফিল্ম করার দরকার নেই। তাহলে ফিল্মে কিছু করতে পারবে না। ফিল্মে এভারেজ পিপলের কোনো দাম নেই। নাটকে ঠিক আছে, নাটকে চলবে, এভারেজ মেধা নিয়ে ওটিটি করতে পারবে, কিন্তু ফিল্মে স্পেশাল কিছু থাকতে হবে। কারণ মানুষ টাকা দিয়ে দেখবে, এখানে আলাদা কিছু থাকতে হবে। এভারেস্ট ট্যালেন্ট নিয়ে ফিল্ম করা যাবে না; এখানে অলরাউন্ডার হতে হবে। ফিল্ম করতে হলে নাচ, গান, অ্যাকশন, মিউজিক ও ফ্যাশন জানতে হবে। এ জন্যই সিনেমা থেকে অনেক কিছু শেখা যায়’।
মন্তব্য করুন