সিনেমাকে দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে প্রথম ভূমিকা রাখে পোস্টার। যা দেখে প্রথমে দর্শক সিনেমা দেখতে আগ্রহী হয়। যার ফলে নির্মাতারা থেকে কলাকুশলী সকলেই পোস্টার নিয়ে সচেতন থাকেন। দেশে অনেক পোস্টার ডিজাইনার আছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম অর্নীল হাসান রাব্বি।
অর্ধশতাধিক সিনেমার পোস্টার এই তরুণ ডিজাইনার অর্নীলের হাতেই হয়েছে। যাতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন পুরো সিনেমার আবহ। একটা সময় ছিল যখন মাথা, গলা কাটা পোস্টার দিয়ে চলত সিনেমার প্রচারণা। কালের পরিক্রমায় দর্শক সেসব পোস্টারের পরিবর্তন আসে। সিনেপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ পোস্টার নকলের। এসব নকলের ভিরে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন অর্নীল।
২০১৭ সাল থেকে সিনেমার পোস্টার ডিজাইন শুরু করেন অর্নীল হাসান রাব্বি। তিনি বলেন, আরও আট বছর আগে স্বপ্নটা দেখেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে সেটা পূরণ হতে চলেছে। ছোট বেলায় দেখতাম, অশ্লীল নিম্নমানের সিনেমার পোস্টার দেওয়ালে লাগানো থাকত। পরিবারের কেউ সঙ্গে থাকলে বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হতো। বিদেশি সিনেমার পোস্টার ভালো রুচিসম্মত হয়, আমাদের দেশেরটা হবে না কেন তাহলে? সেই ক্ষোভ থেকে এই ডিজাইনের কাজ শুরু করি। এখন সিনেমার পোস্টার ডিজাইনের ক্ষেত্রে বেশ পরিববর্তন এসেছে।
দেশের পাশাপাশি এখন এই তরুণের মিশন হলিউড। ওটিটিতে সদ্য মুক্তি পাওয়া সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফি, বাবা সামওয়ান ফলোয়িং মি সিনেমার পোস্টার তার সর্বশেষ উদাহরণ। এ ছাড়াও অর্নীলের ডিজাইন করা সিনেমার পোস্টারের মধ্যে রয়েছে- ‘দিন দ্য ডে’, ‘যন্ত্রণা’, ‘শত্রু’, ‘ভাইয়ারে’, ‘একটি না বলা কথা, নবাব’, ‘বস টু’, ‘ধ্যাততিরিকি’, ‘ইয়েতি অভিযান’, ‘ডেঞ্জার জোন’, ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’, ‘দহন’, ‘প্রেম আমার-২’, ‘বেপরোয়া’, ‘নূরজাহান’, ‘নাকাব’, ‘পাষাণ’, ‘বসন্ত বিকেল’সহ ৫০-এর অধিক সিনেমার পোস্টার ও পাবলিসিটি ডিজাইন।
মন্তব্য করুন