চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে যাচাই-বাছাই শেষে তা বাতিল করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, এক শতাংশ ভোটার জালিয়াতির (ভুয়া স্বাক্ষর) অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মাহিয়া মাহির যেসব ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর দিয়েছেন সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো প্রার্থীর ১০ জনের ভোটার যাচাই করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি’।
জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রতিটি প্রার্থীকে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হয়। রাজশাহী-১ আসনে (তানোর-গোদাগাড়ী) মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১২৭ জন। সে হিসেবে মাহিয়া মাহি ৪ হাজার ৮৩ জন সমর্থনকারীর স্বাক্ষর জমা দেন। এর মধ্য থেকে ১০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে ৩ জনের তথ্যে হেরফের পাওয়া যায়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, ‘তার সমর্থনকারীদের মধ্যে লিলিতা মাডি নামে এক সমর্থনকারী তানোর-গোদাগাড়ী এলাকার ভোটার নয়। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচল উপজেলার ভোটার। এ ছাড়া আরও দুজন সমর্থনকারীকে তাদের ঠিকানা অনুযায়ী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে মাহিয়া মাহির মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে চিত্রনায়িকা মাহি কালবেলাকে জানান, তিনি মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করবেন। মনোনয়নপত্র ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তিনি। আপিলের পরে কী হয় সেটা পরে জানাতে পারবেন এই নায়িকা।
উল্লেখ্য, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। মনোনয়ন ফরম তুলেছিলেন রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য। তবে দলের মনোনয়ন পাননি এই নায়িকা। দল মনোনয়ন না দেওয়ায় রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
মন্তব্য করুন