ঢালিউড চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। নানান কারণে বরাবর সংবাদ শিরোনামে থাকেন তিনি। কখনও প্রাক্তন স্বামী শাকিব খান কিংবা তার দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলীকে নিয়ে মন্তব্য করেন। যদিও কে কী বলছেন তা নিয়ে বেশি একটা ভাবেন না এই নায়িকা। এবার দ্বিতীয়বার বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নিয়ে এলেন আলোচনায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাতকারে এ অভিনেত্রী জানান, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কোনো ভাবনা-চিন্তা নেই তার।
দ্বিতীয়বার বিয়ের কথা ভাবছেন কি না প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘না, কখনও ভাবিনি। দ্বিতীয় বিয়ের দরকারটা কী? বাংলাদেশে আমার এমন একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে সকলে ভাবেন অপু যা-ই করবেন তার মধ্যে একটা বার্তা থাকবে। সেই দিক থেকে দর্শকের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ।
একটা মেয়ে, যার সন্তান আছে সে কেন দ্বিতীয় বিয়ে করবে? দ্বিতীয় বিয়েতে সে হয়তো স্বামী পাবে, সামাজিক পরিচিতি পাবে। কিন্তু সন্তান একজন সৎ বাবা পাবে! সন্তানের প্রতি ওই বাবা সমান ভালোবাসা দেবেন না। তাই আমি মনে করি, দ্বিতীয় বিয়ে করবই না! তাহলে সন্তান তার নিজের বাবাকেই পাবে, অন্য কাউকে বাবা বলতে হবে না। তাই যেকোনো একজনকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, তাতে ভুল কিছু নেই। মা হিসেবে আত্মত্যাগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
মাঝে শোনা গিয়েছে শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সন্তান কোনো ভাঙা পরিবারে বেড়ে উঠুক। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে ভীষণ সচেতন। যেকোনো সন্তানের কাছে পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মা হিসেবে সন্তানকে সুনিশ্চিত একটা জীবন দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আমার মনে হয়, পরিবারের অশান্তিগুলো আমাদের মাঝেই থাকা উচিত; সন্তানকে যেন সেই অশান্তি না স্পর্শ করে। জয় এই জিনিসটা কখনও বুঝতেই পারে না। কারণ আমি, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, শাকিব সকলেই ভীষণ সচেতন। বাবা-মা কাজ করেন, ব্যস্ত বলে দূরত্ব রয়েছে- আমার ছেলের কাছে বিষয়টি এমন। কিন্তু ‘ব্রোকেন’ শব্দটার সঙ্গে ও পরিচিত নয়।’
এ ক্ষেত্রে আপনার তাগিদই কী বেশি? জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘না, শুধু আমি নই। জয়ের বাবাও চান না। এদিক থেকে জয় খুব ভাগ্যবান। কারণ শাকিবের মতো বাবা পেয়েছে। আমার একার ইচ্ছায় তো কোনো কিছু সম্ভব নয়। ওর বাবা নিজের সন্তানের প্রতি খুব স্বচ্ছ। তাই আমার ছেলের কখনো ‘ব্রোকেন ফ্যামিলি’ মনে হয় না।’
সম্প্রতি দেশের একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুবলীকে ঘৃণা করেন বলে জানিয়েছেন অপু। বুবলী প্রসঙ্গে অপু বলেন, ‘আমি আসলে এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। আমি একজন তারকা এবং পাবলিক ফিগার। একজন হিন্দু বাড়ির মেয়ে। আমার মা এখন আর নেই। তবে, কিছু জিনিস শিখিয়ে গিয়েছেন আমাকে। সেটা আমি মেনে চলি। কিছু সীমারেখা থাকে। সেটাকে অতিক্রম করা উচিত নয়। আর যে মানুষকে নিয়ে কথা উঠল, কলকাতায় আমার কাজের জায়গা, সেখানে বসে এসব নিয়ে মন্তব্য করলে অলক্ষ্মী হতে পারে। তাই কোনো মন্তব্য করব না।’
মন্তব্য করুন