বড় পর্দায় অভিষেক হতে চলেছে অভিনেত্রী নাবিলা বিনতে ইসলামের। সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য ‘যুদ্ধজীবন’ চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করছেন তিনি। পাশাপাশি করেন উপস্থাপনাও। জয়া আহসানের অভিনয় মুগ্ধ করে তাকে। পরের সিনেমায় জুটি বাঁধতে চান শাকিব খানের সঙ্গে। এসব নিয়েই কালবেলার সঙ্গে কথা হয় তার।
কালবেলা : সিনেমায় আপনার অভিষেক হতে চলেছে। বড় পর্দায় নিজের কোনটিকে প্রাধান্য দেবেন— রূপ নাকি অভিনয় দক্ষতা?
নাবিলা : আমি সবসময় মনে করি অভিনয়ের গুরুত্ব প্রথমে। এরপর বাকি গেটআপ-সেটআপ। এজন্য তো অবশ্যই টিম মেম্বাররা আছেন, উনারাই সেটা করে দেবেন। চরিত্রের প্রয়োজনে আমাকে যতটুকু গ্ল্যামারাস বা ন্যাচারাল থাকতে হচ্ছে, সেটা অবশ্যই আমি থাকব। চরিত্রের প্রয়োজনে যতটুকু সাজার, আমি সেটুকুই সাজব। কিন্তু আমার মূল ফোকাস থাকবে অভিনয়ে।
কালবেলা : অভিনয়ে হাতেখড়ি কীভাবে? থিয়েটারে সম্পৃক্ত ছিলেন কি?
নাবিলা : ছোটবেলায় মানুষ স্কুলে পড়ার পাশাপাশি যেমন গান ও নাচের স্কুলে যায়, আমি যেতাম অভিনয়ের ক্লাসে। সেই গ্রুপ থেকে নানা সময় বিভিন্ন মঞ্চে বা কম্পিটিশনে গিয়েছি। পারফর্ম করেছি। একদম ছোটবেলার কথা বলছি। পরে ছোট পর্দার মাধ্যমে মিডিয়ায় আসি। মাঝামাঝি সময়ে ওরকমভাবে কোনো থিয়েটারের সাথে যুক্ত ছিলাম না।
কালবেলা : প্রথম সিনেমায় পর্দাভাগের আগে ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে আপনার কোনো সখ্য ছিল কি? দ্বিতীয় ছবিটি কার সঙ্গে করতে চান?
নাবিলা : ‘যুদ্ধজীবন’ সিনেমায় কাজের আগে ফেরদৌস ভাইয়ের সঙ্গে আমার কখনোই একসঙ্গে কাজ হয়নি। কিন্তু আমার শোতে তিনি এসেছিলেন কয়েকদিন আগে। এভাবে অল্প পরিচয় ছিল। অনেক বেশি পরিচয় আগে থেকে ছিল না। আর পরবর্তী সিনেমা কার সঙ্গে করতে চাই, এর উত্তরে বলব—শাকিব খানের সঙ্গে করতে চাই।
কালবেলা : অভিনয়ের ক্ষেত্রে কাকে অনুসরণের চেষ্টা করে থাকেন?
নাবিলা : দেশ-বিদেশে অনেকের অভিনয় ভালো লাগে, কিন্তু কাউকে অনুকরণ করি না। আমার পছন্দের অভিনেত্রী বাংলাদেশের জয়া আহসান, যার অভিনয় আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করে।
কালবেলা : স্বপ্ন কী? হলিউড নাকি বলিউড?
নাবিলা : স্বপ্ন তো বড় দেখতে সমস্যা নেই। বড় স্বপ্নই দেখি। দেশ ও দেশের বাইরে সব পর্দায় যেন কাজ করতে পারি। শিল্পকে নিয়ে যেন অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারি, এটাই সবসময়ের স্বপ্ন।
কালবেলা : নাবিলা কি সঠিক সময়ে শুটিং সেটে হাজির হন?
নাবিলা : সবসময় চেষ্টা করি শুটিংয়ে সময়মতোই থাকার। কারণ আমি জানি একটা টাইম লিমিটেশন থাকে, সেটা না হলে কাজটাও আরাম করে করা সম্ভব নয়। এটা সবসময় মাথায় রাখি।
কালবেলা : বড় পর্দার কোনো নায়িকাকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে হয়?
নাবিলা : আমি তো সিনেমায় একেবারেই নতুন। মাত্র শুটিং করছি। প্রতিদ্বন্দ্বী তো ভাবার কোনো উপায়ই নেই। কারণ অলরেডি সবাই আমার থেকে এগিয়েই আছেন।
কালবেলা : অভিনয়ে আসতে কোনো স্ট্রাগল?
নাবিলা : স্ট্রাগল তো দূরের ব্যাপার, আমি আমার পুরো পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি। বন্ধুবান্ধবের সাপোর্ট পেয়েছি। সবার সাপোর্ট পেয়েছি।
মন্তব্য করুন